প্রভাবশালীদের চাপে তিন গুণ অ্যাক্সেস কার্ড! যুবভারতী কাণ্ডে বিস্ফোরক শতদ্রু দত্ত

Vandalism At Yuba Bharati Krirangan

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: যুবভারতীতে মেসির আগমন এবং তাঁকে ঠিকভাবে দেখতে না পাওয়ায় নিয়ে স্টেডিয়ামে (Vandalism At Yuba Bharati Krirangan )উন্মত্ত জনতার ভাঙচুর, এই সবকিছুর প্রায় এক সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই অনুষ্ঠানের মূল উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশও দিয়েছে বিধাননগর কোর্ট। গতকালই পুলিশ হুগলির রিষড়ায় শতদ্রু দত্তের বাড়িতে তদন্তের খাতিরে যায়। তিন ঘণ্টা চলে তল্লাশি, এবার তদন্তকারীদের জেরার সামনে বিস্ফোরক দাবি করে বসলেন শতদ্রু দত্ত।

জড়িয়ে ধরা পছন্দ করেননি মেসি

রিপোর্ট মোতাবেক গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার তদন্তকারীদের জেরার মুখে পড়তে হয়েছিল শতদ্রু দত্তকে। সেখানে তদন্তকারীদের তরফে প্রশ্ন করা হয় যে যুবভারতীতে মেসির অনুষ্ঠানে কেন বিশৃঙ্খলা হয়েছে? সেই প্রশ্নের জবাবে শতদ্রু একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, পিঠে হাত দেওয়া বা জড়িয়ে ধরা একেবারেই পছন্দ করেননি মেসি। বিদেশ থেকে আসা নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের সে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। এদিকে বারবার ঘোষণা করেও কোনও লাভ হয়নি বলেও জানিয়েছেন শতদ্রু।

প্রভাবশালীদের চাপে বাড়াতে হয় অ্যাক্সেস

তদন্তকারীরা প্রশ্ন করেছিল যে স্টেডিয়ামে এত মানুষ কোথা থেকে এল? সেক্ষেত্রে জেরায় শতদ্রু দত্ত বলেছেন, “প্রথমে দেড়শো জনের গ্রাউন্ড অ্যাক্সেস কার্ড দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে কিছু প্রভাবশালীদের চাপে এই সংখ্যাটাকে তিনগুণ বাড়াতে হয়েছিল।” তিনি আরও বলেন, “ভারত সফরের জন্য মেসিকে ৮৯ কোটি টাকা দেওয়া হয়। এবং কর বাবদ ১১ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল ভারত সরকারকে। সব মিলিয়ে ১০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ টাকা দিয়েছিল স্পনসররা এবং বাকি ৩০ শতাংশ এসেছে টিকিট বিক্রি করে।” স্বাভাবিকভাবেই তাই প্রশ্ন উঠছে এক্ষেত্রে প্রভাবশালী বলতে এসে কাকে ইঙ্গিত করেছে।

আরও পড়ুন: বাংলায় মহা জঙ্গলরাজ চলছে! তাহেরপুরের থেকে তৃণমূলকে চাঁচাছোলা আক্রমণ মোদীর

প্রসঙ্গত, শতদ্রু দত্তর বিরুদ্ধে স্টেডিয়ামে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির কারণে দু’টি মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। অন্যদিকে অশান্তি, ভাঙচুর, হিংসা ছড়ানো-সহ ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৯২, ৩২৪ (৪)(৫), ৩২৬ (৫), ১৩২, ১২১ (২), ৪৫, ৪৬ এবং নাশকতামূলক কার্যকালাপ ছড়ানোর ও জনগণের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। অন্যদিকে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ভাঙচুরের ঘটনায় সবমিলিয়ে মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে সেই সংখ্যা আরো বাড়বে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে কারণ পুলিশ এখনো ফুটেজ দেখে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।

Leave a Comment