প্রশান্ত মহাসাগরে শক্তি বৃদ্ধিই লক্ষ্য, লাক্ষাদ্বীপে প্রতিরক্ষা ঘাঁটি গড়ছে ভারত

বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ভারতের দক্ষিণী রাজ্য কেরলের উপকূলে একেবারে 36টি ছোট বড় দ্বীপ নিয়ে গড়ে উঠেছে লাক্ষাদ্বীপ। এবার সেই দ্বীপেরই এক প্রান্তে প্রতিরক্ষা ঘাঁটি গড়তে চলেছে দিল্লি। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, বিত্রা নামক দ্বীপে প্রতিরক্ষা ঘাঁটি তৈরির চিন্তা ভাবনা করছে কেন্দ্র। এবার সেই মর্মেই ওই দ্বীপে জারি হয়েছে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি।

রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের প্রতিরক্ষার স্বার্থে ওই দ্বীপটিকে ভারতীয় প্রতিরক্ষা সংস্থার কাছে হস্তান্তর করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। এবার সেই নির্দেশ মতোই এগোচ্ছে কাজ।

বিত্রা দ্বীপেই গড়ে উঠবে ভারতের প্রতিরক্ষা ঘাঁটি

আসলে লাক্ষাদ্বীপের 36টি ছোট বড় দ্বীপের মধ্যে 10টি দ্বীপ বর্তমানে বাসযোগ্য। আর সেই বসবাসযোগ্য 10 দ্বীপের মধ্যেই নাম রয়েছে বিত্রার। মূলত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে কূটনৈতিক শক্তি বৃদ্ধি করতে এবার এই দ্বীপেই প্রতিরক্ষা ঘাঁটি গড়তে চায় ভারত।

হঠাৎ কেন এই দ্বীপটিকেই বেছে নেওয়া হল?

বিশেষজ্ঞদের মতে, লাক্ষাদ্বীপের 10টি বসবাসযোগ্য দ্বীপের মধ্যে এই দ্বীপটির ভৌগোলিক অবস্থান এবং জাতীয় নিরাপত্তার প্রাসঙ্গিকতার কথা মাথায় রেখেই এই অঞ্চলটিকে প্রতিরক্ষা ঘাঁটি তৈরির আদর্শ অঞ্চল হিসেবে দেখছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।

বিশেষজ্ঞদের মতে, মূলত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে কৌশলগত ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেই এই দ্বীপে প্রতিরক্ষা ঘাঁটি তৈরি করতে মরিয়া নয়া দিল্লি।

যদিও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের এই দ্বীপটিতে 150টি পরিবার বসবাস করে। তবে প্রতিরক্ষা ঘাঁটি তৈরি হলে ওই পরিবারগুলিকে খুব সম্ভবত অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। তবে এ বিষয়ে কোনও সরকারি তথ্য মেলেনি।

অবশ্যই পড়ুন: ঢাকায় ACC-র বৈঠকে অংশ নিতে রাজি নয় BCCI সহ একাধিক বোর্ড, এশিয়া কাপ হবে তো?

 

দানা বেঁধেছে নতুন সমস্যা

লাক্ষাদ্বীপের বিত্রায় প্রতিরক্ষা ঘাঁটি তৈরি করে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ক্ষমতা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে সাউথ ব্লকের। তাছাড়াও এর অদূরেই রয়েছে মালদ্বীপ। যেই দ্বীপরাষ্ট্রটিতে বিগত দিনগুলিতে ক্রমশ নিজের ক্ষমতা বৃদ্ধি করার মরিয়া চেষ্টা করছে চিন। একই সাথে, বিত্রায় প্রতিরক্ষা ঘাঁটি তৈরি করতে পারলে শত্রুর ওপর নজরদারি থেকে শুরু করে অন্যান্য ক্ষেত্রে সুবিধাই হবে ভারতের।

তবে, প্রতিরক্ষা ঘাঁটি তৈরির পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে স্থানীয়দের অসন্তোষ। কেন্দ্রের এমন পরিকল্পনা জানতে পেরেই পথে নেমেছেন বিত্রার জনগণ। এমনকি, ভারতের প্রতিরক্ষা ঘাঁটি তৈরির বিষয়টিকে রাজনৈতিকভাবে দেখছেন অনেকেই। কেউ কেউ বলছেন, ওই অঞ্চলটির স্থানীয়দের শান্তি বিঘ্নিত করতেই এমন পদক্ষেপ নিতে চাইছে দিল্লি!

Leave a Comment