প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া ভিন্ন ধর্মে জমি বিক্রি নয়! হঠাৎ কেন এমন সিদ্ধান্ত অসম সরকারের?

Assam Government On Land transfer for inter religious new guidelines

বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: এবার থেকে আর প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া ভিন্ন ধর্মে জমি বিক্রি করা যাবে না (Assam Government On Land Transfer)। স্বাধীনতা দিবসের দিন লালকেল্লায় রাজ্যগুলির জনবিন্যাস বদল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বেগ প্রকাশের পরই কোমর বেঁধে কাজ শুরু করে দিল বিজেপি!

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লালকেল্লার বক্তব্য থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের ল্যান্ড জেহাদের মতো সমস্যা নিয়ে উদ্বেগের ইঙ্গিত মিলেছিল। এবার সেই সূত্র ধরেই অসমের বিজেপি সরকার নাগরিকদের জন্য বড় ঘোষণা করল।

কড়া নির্দেশ অসমের মুখ্যমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রীর উদ্বেগকে সামনে রেখে সদ্য অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, রাজ্যজুড়ে আর প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া ভিন্ন ধর্মের কোনও ক্রেতার কাছে জমি বিক্রি করা যাবে না।

হিমন্ত জানান, অসম রাজ্য এমনিতেই সংবেদনশীল, তাই এখানে জমি হস্তান্তরের বিষয়টিতে কড়া নজর রাখা উচিত। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অসমের কোনও নাগরিক যদি তাদের জমি স্বইচ্ছায় ভিন্ন ধর্মের ব্যক্তির কাছে বিক্রি করতে চান, সেক্ষেত্রে আগে গোটা বিষয়টি সরকারকে জানাতে হবে। প্রশাসন গোটা বিষয়টিতে নজর রাখবে।

খতিয়ে দেখা হবে যিনি জমি কিনছেন তাঁর রোজগারের উৎস কী। ওই জমি বিক্রি করা হলে স্থানীয় অঞ্চলে সামাজিক সংহতি বজায় থাকছে তো, এই সমস্ত বিষয়ে খতিয়ে দেখার পর সবুজ সংকেত পাওয়া গেলে তবেই ভিন্ন ধর্মে জমি বিক্রির ছাড়পত্র দেবে সরকার।

অসম সরকারের দাবি, ভিন্ন ধর্মে জমি বিক্রির ক্ষেত্রে যাতে স্থানীয় এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত না হয় সেজন্যই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বলা বাহুল্য, অসমের কোনও জেলায় ভিন্ন ধর্মে জমি হস্তান্তরের বিষয়টি খতিয়ে দেখার দায়িত্ব থাকবে জেলাশাসক বা জেলা স্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিশনারের উপর।

 

অবশ্যই পড়ুন: এক হচ্ছেন পুতিন, জিনপিং, কিম! উত্তর কোরিয়ার পাগল রাজার চিন সফরে চাপে আমেরিকা

অনুপ্রবেশকারীদের রুখতেই এমন পদক্ষেপ?

ভিন্ন ধর্মে জমি বিক্রির বিষয়টিকে সামনে এনে অসমের মুখ্যমন্ত্রী বিশ্বশর্মা একেবারে খোলাখুলি জানান, অসমের সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলির জলবিন্যাস বদলে যাচ্ছে। এই সমস্যা রুখতে আমরা বদ্ধপরিকর। বেআইনি অনুপ্রবেশকারীরা জোর করে অসমের বিভিন্ন জমি কিনে সেখানে বসবাস করতে শুরু করেছে। ধীরে ধীরে অসমেও ল্যান্ড জেহাদের মতো পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। তাই জন বিন্যাস বদল আটকাতে আইনতভাবে কঠোর হওয়া প্রয়োজন। তাই এই নয়া নির্দেশিকা।

Leave a Comment