সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ভয়াবহ ঘটনা মুম্বাইয়ে (Mumbai)। পাওয়াইয়ের এক স্টুডিও থেকে উদ্ধার হল 15-20 জন শিশু। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার। সূত্রের খবর, মুম্বাইয়ের আরএ স্টুডিওতে ওই শিশুদেরকে আটকে রাখা হয়েছিল। সেখানে মূলত একটি অভিনয় শিক্ষাকেন্দ্র রয়েছে। ফলত অভিনয়ের ক্লাসে নিয়ে যাওয়ার নাম করেই শিশুদেরকে আটকে রাখা হয়েছে বলে অনুমান।
খবর পাওয়া মাত্রই গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেছে পুলিশ। আর ওই এলাকায় রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। তবে আসলে কী কারণে শিশুদেরকে আটকে রাখা হয়েছে, সে প্রসঙ্গে এখনও কোনও তথ্য হাতে আসেনি। এদিকে মুম্বাইয়ের কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করছে যে, পাওয়াইয়ের আরএ স্টুডিওতে আটকে পড়া সমস্ত শিশুদের নিরাপদেই উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের অভিভাবকদের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। উল্লেখ্য, পুলিশ জোর করে বাথরুম দিয়ে স্টুডিওতে প্রবেশ করেছিল। তবে কর্মকর্তাদের মতে, গত 10 দিন ধরে ওই শুটিং অডিশনের জন্য শিশুদেরকে ওখানে আটকে রাখা হয়েছে।
অপহরণকারীর ভিডিও মেসেজ
এদিকে এই ঘটনায় রোহিত আর্য নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই তাকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর পাওয়া গেছে, এদিন প্রায় 100 জন শিশু অডিশনের জন্য অ্যাক্টিং স্কুলে গিয়েছিল। তবে বাকি সবাইকে ছেড়ে দিয়ে ওই 15 থেকে 20 জনকে আটকে রেখেছিল রোহিত। এমনকি ওই বিল্ডিং এর দোতলাতেই শিশুদেরকে আটকে রাখা হয়েছিল।
Maharashtra | “A man, identified as Rohit Arya, has held a few children hostage in Powai area of Mumbai. He has released a video purportedly saying that he wants to speak with a few people and if he is not allowed to do it, he will set eveything on fire and harm himself and the…
— ANI (@ANI) October 30, 2025
তবে তাদের আটকে রাখার পর একটি ভিডিও মেসেজ পোস্ট করেছিল অভিযুক্ত। আর সেখানে সে বলেছিল, আমি রোহিত আর্য। মেরে ফেলার বদলে আমি পরিকল্পনা করেই ওই শিশুদেরকে আটকে রেখেছি। এমনকি সে বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলতে চায় বলেও দাবি করে। এমনকি তাকে বিরক্ত করলে বড়সড় পদক্ষেপেরও হুমকি দিয়েছিল সে। পাশাপাশি স্টুডিওতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ ফের মহিলা জুনিয়র ডাক্তারকে হেনস্থা মত্ত রোগীর! চরম বিক্ষোভ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে
কেন আটকে রাখা হল শিশুদের
যদিও এখনও নির্দিষ্ট কোনও কারণ সামনে আসেনি। তবে কারও সঙ্গে কথা বলার জন্যই হয়তো শিশুদেরকে আটকে রেখেছে বলেই জানিয়েছে অভিযুক্ত রোহিত। কিন্তু কার সঙ্গে কথা বলবে, সে কথা এখনও প্রকাশ আনেনি। এমনকি কথা না বলা হলে সে ওই শিশুদেরকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাবে বলেও জানিয়েছিল। যদিও পুলিশ বর্তমানে এই ঘটনার নেপথ্যে আসলে কী কারণ রয়েছে সে বিষয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে। পাশাপাশি উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা পুলিশের তৈরি ব্যারিকেডের কাছে ভিড়ও জমাচ্ছে। আর এ নিয়ে গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দারা ভেতরে আটকে পড়া শিশুদের সুস্থতা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।