প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: শূন্যপদের তুলনায় বাড়ল আবেদন এর সংখ্যা! আর তাতেই ফের শূন্যপদ বৃদ্ধির দাবী জানালো চাকরিপ্রার্থীরা। গত সেপ্টেম্বরে ১৩৪২১ টি শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। প্রায় আট বছর প্রাথমিক স্কুলগুলিতে শিক্ষকতার জন্য নিয়োগ করা হতে চলেছে। আর তাতেই বাড়ল আবেদনের সংখ্যা। জানা গিয়েছে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের (WBBPE Teacher Recruitment 2025) আবেদন প্রায় ৬০ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছেছে। আর তাতেই মাথায় হাত পড়ল প্রার্থীদের।
কী বলছেন পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল?
গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের আবেদন প্রসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল বলেন, ” গত মঙ্গলবার অর্থাৎ ৯ ডিসেম্বর, রাত বারোটা পর্যন্ত আবেদন নেওয়া হয়েছিল। সেখানে আবেদনের সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় ৬০ হাজারে। ২০২২ সালে যে প্রাথমিকে নিয়োগ হয়েছিল, তার থেকে এ বার আবেদনের সংখ্যা বেশ কিছুটা বেশি।” এছাড়াও এদিন প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউ নিয়েও মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, “ আমাদের ইন্টারভিউ হবে কেন্দ্রীয় ভাবে। অর্থাৎ সকলকে সল্টলেকের অফিসে এসে ইন্টারভিউ দিতে হবে। আইনি জটিলতা এড়াতে ও স্বচ্ছতা বজায় রাখতে সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
ভিডিওগ্রাফি ব্যবহার করা হবে
একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির জন্য শিক্ষক নিয়োগে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায় ভিডিওগ্রাফি ব্যবহার করছে না স্কুল সার্ভিস কমিশন। কিন্তু প্রাথমিকে সে ব্যবস্থা থাকবে। অর্থাৎ প্রত্যেক চাকরিপ্রার্থীর ইন্টারভিউ ভিডিওগ্রাফি করবে পর্ষদ। পর্ষদ সূত্রের খবর, চলতি ডিসেম্বরের শেষে ভিডিওগ্রাফি ব্যবহার করে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তবে আঞ্চলিক ভাবে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে ইন্টারভিউ হলেও উপযুক্ত পরিকাঠামোর অভাবে সমস্ত ইন্টারভিউ ভিডিওগ্রাফি করা সম্ভব হবে না। সেক্ষেত্রে তাই যিনি ইন্টারভিউ নেবেন তিনি পরীক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর কাগজে না লিখে স্বচ্ছতার জন্য সোজাসুজি অনলাইনে আপলোড করবে।
আরও পড়ুন: SIR বৈঠকের মাঝেই মহকুমাশসকের দফতরে BLO-কে চড়! হুলুস্থুল কাণ্ড হুগলির শ্রীরামপুরে
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে শেষ বার প্রাথমিক নিয়োগ হয়েছিল। সেখানে যোগ দিয়েছিলেন ২০১৪ ও ২০১৭-এর টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীরা। এরপরে ২০২২ ও ২০২৩-এর টেট উত্তীর্ণ এবং ডিএলএড প্রশিক্ষিত প্রার্থীরা এতদিনে নিয়োগে প্রক্রিয়ায় যোগদানের সুযোগ পাননি। তাই সেক্ষেত্রে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া বেশ গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। তবে যেহেতু আবেদনের সংখ্যা তুলনায় অনেকটাই কম, সেক্ষেত্রে তাই আরও ১০ হাজার শূন্যপদ বাড়ানোর দাবি উঠেছে চাকরি প্রার্থীদের একাংশের তরফে। কিন্তু এ ব্যাপারে এখনো কোনো স্পষ্ট মতামত দেয়নি পর্ষদ।