সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) নারসিংপুর জেলায় ঘটে গেল এক ভয়াবহ ঘটনা। হ্যাঁ, মাত্র 18 বছরের এক ছাত্র নিজের প্রাক্তন স্কুলের গেস্ট টিচারের গায়েই আগুন ধরিয়ে দিল শুধুমাত্র প্রেমের প্রস্তাবে রিজেক্ট হওয়ার কারণে। হ্যাঁ, অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই পুলিশ গ্রেফতার করে ফেলেছে।
কীভাবে ঘটল এই ঘটনা?
রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটা নাগাদ শিক্ষিকার বাড়িতে ওই অভিযুক্ত সূর্যাংশ কোছার উপস্থিত হয়। তার সঙ্গে ছিল পেট্রোল ভর্তি একটি বোতল। এরপর আচমকাই শিক্ষিকার গায়ে ওই দাহ্য পদার্থ ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় সে। এরপর সে ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়।
রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, 26 বছরের ওই শিক্ষিকার প্রায় 10 থেকে 15 শতাংশ শরীর পুড়ে গিয়েছে। আর তাকে দ্রুত জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকদের প্রাথমিক রিপোর্ট বলা হয়েছে যে, আঘাত গুরুতর হলেও তা প্রাণঘাতী নয়। তবে বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
ব্যক্তিগত রাগ থেকেই এরকম আচরণ?
তদন্ত মারফৎ জানা গিয়েছে যে, দুই বছর ধরেই অভিযুক্ত সূর্যাংশ এবং শিক্ষিকার পরিচয় ছিল। একতরফা আকর্ষণ ছিল ছাত্রের মনে। কয়েক বছর আগে স্কুল থেকে বহিষ্কৃত হলেও ওই ম্যাডামের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় ছিল।
ঘটনার সূত্রপাত স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান। হ্যাঁ, সূর্যাংশ সেখানে শিক্ষিকাকে নিয়ে অশোভনীয় মন্তব্য করেছিল। শিক্ষিকা বিষয়টিকে স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানায়। আর সেই অভিযোগে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিশোধ নেওয়ার ছক করেছিল ওই অভিযুক্ত।
আরও পড়ুনঃ ৫.৬% থেকে নেমে ৫.২%! গত তিন মাসের সর্বনিম্ন স্তরে দেশের বেকারত্ব
তবে এই ঘটনার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই কোতয়ালি থানার পুলিশ ডোঙ্গারগ্রাম থানার অন্তর্গত কল্যাণপুর গ্রাম থেকে সূর্যাংশকে গ্রেফতার করেছে। আর বর্তমানে সে পুলিশি হেফাজতে রয়েছে এবং জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে যে, ভুক্তভোগী শিক্ষিকার সম্পূর্ণ বয়ান নেওয়ার পরেই আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।