বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: শেষবারের মতো মোহনবাগানকে রুখে দিয়ে সুপার কাপের সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। সেখান থেকেই পাঞ্জাবকে ঝকঝকে ফুটবল দেখিয়ে ফাইনালের (East Bengal FC Vs FC Goa) টিকিট পাকা করেছে তারা। এখন অপেক্ষা রবিবারের ম্যাচ উত্তরে যাওয়ার। তবে সেই আসরে লাল হলুদকে সংঘর্ষে জড়াতে হবে শক্তিশালী এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে। তবে গতবারের এই চ্যাম্পিয়নের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগেই লাল হলুদের মাঝ মাঠের রক্ষক মহম্মদ রশিদকে কুরে কুরে খাচ্ছে প্রায় দেড় মাস আগেকার IFA শিল্ডে মোহনবাগানের কাছে টাইব্রেকারের হার। রবিবার গোয়াকে হারিয়ে ফাইনাল জিতেই সেই যন্ত্রনা ভুলতে চান তিনি।
মোহনবাগানের কাছে হার ভুলতেই পারছেন না রশিদ
গত শিল্ড ডার্বির গোটা ম্যাচে মস্তানি করে খেলেছিল ইস্টবেঙ্গল। এদিন লাল হলুদের ক্রমাগত আক্রমণের সামনে বারবার মোহনবাগানের রক্ষনকে একেবারে ফিকে দেখাচ্ছিলো। সবচেয়ে বড় কথা গোলের নিরিখেও এগিয়েছিল মশাল ব্রিগেডই। যারা ম্যাচ দেখেছিলেন তারা জানবেন, এদিন প্রতিবেশী ইস্টবেঙ্গলের ঝাঁঝালো আক্রমণের সামনে একপ্রকার নাভিশ্বাস উঠে গিয়েছিল বাগান প্লেয়ারদের। তবে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ ড্র হলেও ইস্টবেঙ্গলের মুখের গ্রাস ছিনিয়ে নেয় মোহনবাগান। টাইব্রেকারে মাত্র একটা ভুলের জন্যই লাল হলুদের হাত ফসকায় গোটা ম্যাচ।
সবুজ মেরুনের কাছে সেই পরাজয়ের ধাক্কা আজও কাটিয়ে উঠতে পারেননি ইস্টবেঙ্গলের অন্যতম প্রধান সৈনিক মহম্মদ রশিদ। সুপার কাপের ফাইনালে নামার আগে গত শুক্রবার তিনি জানিয়েছেন, “সুপার কাপের ফাইনালে পৌঁছতে পেরে গর্বিত। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে প্রথম গোল করতে পেরে আমি সত্যিই খুশি। তবে IFA শিল্ডে হারের যন্ত্রণা এখনও আমাকে দুঃখ দেয়। তাই রবিবার সুপার কাপ জিততে মরিয়া আমি। ফাইনালে গোয়াকে হারিয়েই কলকাতার সমর্থকদের সাথে সেই জয়টা উদযাপন করতে চাই। পরাজয়ের যন্ত্রণা কাটাতে চাই।”
অবশ্যই পড়ুন: মাত্র ১ টাকায় জমি দিচ্ছে রাজ্য সরকার, এই তারিখের মধ্যে করতে হবে আবেদন
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সুপার কাপের সেমিফাইনালে পাঞ্জাবকে একেবারে আটকে রেখে গোল করে গেছে ইস্টবেঙ্গল। ভাগ্যের জোরে পাঞ্জাব দলের একটি মাত্র পেনাল্টি বাদ দিলে গোটা ম্যাচ ঘুরে লাল হলুদের কোনও ভুল খুঁজে বের করতে পারবেন না ফুটবল প্রিয় মানুষজন। তবে এবার ফাইনালে প্রতিপক্ষ শক্তিশালী গোয়া। সেখানে পাথর ভাঙতে পারলেই কাঁধে উঠবে সুপার কাপ। গুঁড়িয়ে যাবে শত দুঃখ। তৈরি হবে নতুন নজির।