ফুলল কপাল, ভাঙল শাঁখা! নবান্ন অভিযানে পুলিশের লাঠির ঘায়ে আহত অভয়ার মা

Nabanna Abhijan

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: কলকাতার রাজপথে আজ শনিবার, দুপুরবেলা নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhijan) মিছিলে যোগ দিতে গিয়ে গুরুতর চোট পেল আরজি কর হাসপাতালের নির্যাতিতা অভয়ার মা। হ্যাঁ, অভিযোগ উঠছে, পার্কস্ট্রিট মোড়ে মহিলা পুলিশের লাঠির আঘাতেই তার কপাল ফুলে যায় এবং হাতের শাঁখাও ভেঙে যায়। আর এই ঘটনায় আন্দোলনকারীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে তীব্র ক্ষোভ।

কীভাবে ঘটল এই ঘটনা?

উল্লেখ্য, শনিবার নির্যাতিতার মা-বাবার ডাকে বিজেপির নেতৃত্বে একটি দল ধর্মতলা থেকে নবান্নের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল। রিপোর্ট অনুযায়ী, দুপুর বারোটার পর পার্কস্ট্রিট মোড়ে পৌঁছান মাত্রই পুলিশ ব্যারিকেড বসিয়ে তা আটকে দেয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হয় ধস্তাধস্তি। আর তাতেই গুরুতর আঘাত পেয়েছেন নির্যাতিতার মা। এমনটাই অভিযোগ উঠছে।

পার্কস্ট্রিট থেকে মিছিলের একটি অংশ রেসকোর্সের দিকে এগোতে শুরু করেছিল। আর তাদের মধ্যে নির্যাতিতার মা-বাবা, বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচী ও প্রীতম দত্তও ছিলেন। কিন্তু রেসকোর্সের কাছেও ছিল একের পর এক ব্যারিকেড। প্রথমে গ্রিল, তারপর কাঠ এবং বাঁশের ব্যারিকেড। আর এখানেও পুলিশ আন্দোলনকারীদের পথ আটকানোর চেষ্টা করে।

এদিকে মিছিল শুরুর আগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছিলেন যে, পুলিশ অকারণেই একের পর এক ব্যারিকেড তৈরি করছে। মুখ্যমন্ত্রী এখনও সবার মুখ্যমন্ত্রী হয়ে উঠতে পারেনি। সিবিআই তদন্ত নিয়ে তিনি বলেছিলেন, আদালতের নির্দেশে তদন্ত চলছে। অভিযোগ থাকলে আদালতেই জানানো উচিত।

উল্লেখ্য, ব্যারিকেড থেকে নেমে রাস্তার এক পাশে গিয়ে ব্যারিকেডের ফাঁক দিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলারও চেষ্টা করেছিলেন নির্যাতিতার বাবা। হ্যাঁ, তাঁর বাবা বলেছেন, আমাদের তো হাইকোর্ট অনুমতি দিয়েছে অভিযান করার। তাহলে আপনারা কেন আটকাচ্ছেন? আমরা তো শান্তিপূর্ণভাবেই এই মিছিল করছি। আমাদের ছেড়ে দিন, আমাদেরকে সামনের দিকে যেতে দিন। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনোরকম সদুত্তর না পাওয়ায় সেখানে বসার ভাবনাচিন্তা করেন তাঁরা।

আরও পড়ুনঃ ন্যূনতম ৫০,০০০ টাকা ব্যালেন্স না রাখলে মোটা জরিমানা! গ্রাহকদের ঝটকা দিল ICICI ব্যাঙ্ক

অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে নির্যাতিতার মা

এদিকে রেসকোর্সের ধারে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন নির্যাতিতার মা। অভিযোগ উঠেছে, পুলিশের কাছে জল চাওয়া হলেও তা নাকি মেলেনি। পরে সহ আন্দোলনকারীরা তাকে জল এনে দেয়। তবে চোখ জল খাওয়ানো বা চোখ মুখে জল দেওয়ার পরেও নির্যাতিতার মায়ের অসুস্থতা কমেনি। পরিস্থিতি দ্রুত অবনতির দিকে গড়ানোয় তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

Leave a Comment