প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: পেরিয়েছে সময়সীমা, কিন্তু দীর্ঘ বছর ধরে লড়াই করে আসা কঠিন মামলায় কোনো সুফল পেল না রাজ্য সরকারী কর্মীরা। এখনও পর্যন্ত কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা নিয়ে টালবাহানা পরিস্থিতি বজায় রয়েছে।
এদিকে একদিকে যখন কর্মীরা তাকিয়ে আছেন বকেয়া প্রাপ্তির দিকে, ঠিক তখনই রাজ্য সরকার কয়েক হাজার প্যারাটিচারদের জন্য নিতে চলেছে এক চরম সিদ্ধান্ত। সম্পূর্ণটা জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত।
প্যারাটিচারদের জন্য সুযোগ-সুবিধা!
দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যের প্যারাটিচারদের মধ্যে থেকে উঠে এসেছে একাধিক অভিযোগ। স্কুলে সহকারী শিক্ষকদের সমান একাধিক কাজ করলেও বেতনের রয়েছে আকাশ পাতাল পার্থক্য। শুধু বেতন নয় বঞ্চিত হন অন্যান্য সুযোগ সুবিধা থেকেও।
অবশেষে তাঁদের জন্য সুখবর নিয়ে আসতে চলেছে রাজ্য সরকার। জানা গিয়েছে, শীঘ্রই একগুচ্ছ নতুন সুযোগ-সুবিধা ঘোষণা করতে চলেছে প্রশাসন। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো বেতন কাঠামোয় বড়সড় পরিবর্তন এবং পদের নতুন নামকরণ।
পরিবর্তন হবে নাম!
আসলে বেশ কয়েকদিন ধরেই পার্শ্ব শিক্ষকদের দাবি-দাওয়া নিয়ে চিন্তা-ভাবনা শুরু করেছিল রাজ্য সরকার। প্যারা টিচারদের পদোন্নতি নিয়েও হয়েছিল একাধিক বৈঠক। জানা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই প্যারাটিচার পদের নাম বদলে রাখা হতে পারে অতিরিক্ত সহকারী শিক্ষক। এবং স্যালারি নিয়েও নেওয়া হতে পারে বড় উদ্যোগ। বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে নয়া বেতন কাঠামো অনুযায়ী প্রাইমারি প্যারাটিচারদের সম্ভাব্য বেতন হতে পারে ৩৫ হাজার টাকা।
বেতনেও হবে একাধিক পরিবর্তন
অন্যদিকে আপার প্রাইমারি প্যারাটিচারদের বেতন বেড়ে হতে পারে ৪০ হাজার টাকা। যা সহকারী শিক্ষকদের স্টার্টিং স্যালারির প্রায় কাছাকাছি এই বেতন। যার ফলে অনেকটাই ফারাক কমবে সহকারী এবং প্যারা টিচারদের বেতনের। এছাড়াও মহিলা প্যারাটিচারদের জন্য ৭৩০ দিনের চাইল্ড কেয়ার লিভের ব্যবস্থা চালু হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রতিটি স্কুলের স্টাফ কাউন্সিলে অন্তত একজন প্যারাটিচার সদস্য অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব রয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিএ-র পর রাজ্যে এবার PF না মেটানোর অভিযোগ! ৪ মাসের আল্টিমেটাম হাইকোর্টের
রাজ্য সরকারের একাধিক উদ্যোগ
মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সময়ও প্যারাটিচারদের পরিদর্শকের দায়িত্ব দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। পাশাপাশি তাঁদের কর্মজীবন নিরাপদ এবং স্থায়িত্ব রাখতে পৃথক সার্ভিস রুল এবং সার্ভিস বুক তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে।
সেক্ষেত্রে যদিও রাজ্য দরকার কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেনি, এমনকি শিক্ষা দপ্তরের কোন আধিকারিককে এই প্রসঙ্গে কথা বলতেও শোনা যায়নি। আশা করা হচ্ছে ছাব্বিশ হাজার শিক্ষকের মামলার রায়ের ওপরেই নাকি নির্ভর করবে প্যারা টিচারদের ভবিষ্যৎ।