সহেলি মিত্র, কলকাতা: ‘মান্থা’-র পর এবার নতুন আরও এক ঘূর্ণিঝড় সাইক্লোন সেনিয়ার (Cyclone Senyar) এর পূর্বাভাস জারি করল হাওয়া অফিস। বঙ্গোপসাগরে এই নতুন সাইক্লোনটি তৈরী হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে যে ২১শে নভেম্বরের শেষের দিকে অথবা ২২শে নভেম্বর ভোরের দিকে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং দক্ষিণ আন্দামান সাগরে একটি নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হতে পারে। স্কাইমেট ওয়েদারের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, এই সিস্টেমটি গঠনের পর ধীরে ধীরে শক্তিশালী হবে। এটি প্রথমে একটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে এবং পরে দ্রুত ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় সেনিয়ার!
একাধিক রিপোর্টে বলা হয়েছে যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর এটি পূর্ব উপকূলের দিকে অগ্রসর হতে পারে। এর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়তে পারে তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িশায়। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, যদি কোনও ঝড় তৈরি হয়, তবে এটি ২৭ থেকে ২৯ নভেম্বরের মধ্যে স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন যে ২৪ নভেম্বরের কাছাকাছি সময়ে যখন সিস্টেমটি নিম্নচাপ বা গভীর নিম্নচাপের স্তরে পৌঁছাবে তখনই ঝড় সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে। যদি এটি তৈরি হয়, তবে এটি হবে বঙ্গোপসাগরে এই মরশুমে দ্বিতীয় ঘূর্ণিঝড়। যদি কোনও ঝড় তৈরি হয়, এর নাম হবে সেনিয়ার।
ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা
আইএমডি অনুসারে, ২২ নভেম্বর দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা ২৪ নভেম্বরের মধ্যে তীব্রতর হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।এর আগে, তীব্র ঘূর্ণিঝড় মন্থা স্থলভাগে আঘাত হানে। স্কাইমেট ওয়েদার জানিয়েছে যে আন্দামান সাগর এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঝড়গুলি প্রায়শই ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের দিকে অগ্রসর হয়। তবে, বর্তমানে তৈরি হওয়া সিস্টেমটি বিষুবরেখার খুব কাছাকাছি, যার ফলে এটি তামিলনাড়ু এবং অন্ধ্র প্রদেশের দিকে অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আবহাওয়া বিভাগের পূর্বাভাস অনুসারে, নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের এক বা দুটি জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত (০৭ থেকে ২০ সেমি) হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, আন্দামানেও ভারী বৃষ্টিপাত (০৭-১১ সেমি) হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আন্দামানের মৎস্যজীবীদের আগামী ২৩ নভেম্বর অবধি সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।