বঙ্গোপসাগরে মিসাইল হামলা! সমুদ্রের বুকে বিরাট যুদ্ধ মহড়া চালাল বাংলাদেশ

Bangladesh Navy Exercise they Conducts missile launches in Bay of Bengal

বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: বঙ্গোপসাগরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বাংলাদেশ। জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বাৎসরিক সমুদ্র মহড়া 2025 সমাপ্ত হয়েছে গত রবিবার (Bangladesh Navy Exercise)। আর এই মহড়ার অংশ হিসেবেই বঙ্গোপসাগরের সফলভাবে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে ওপারের নৌসেনা। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিবৃতি জারি করেছে মহম্মদ ইউনূসের দেশের নৌবাহিনী। সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বার্ষিক সমুদ্র মহড়া 2025 ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ এবং বিভিন্ন নৌযুদ্ধের কৌশল প্রদর্শনের মধ্যে দিয়ে সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।”

পাঁচ দিনব্যাপী নৌমহড়া বাংলাদেশের

বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হোসেনের নেতৃত্বে বঙ্গোপসাগরে সংঘটিত হয়েছে বাংলাদেশ নৌসেনার পাঁচ দিনের বাৎসরিক সামুদ্রিক নৌমহড়া। ওপার বাংলার সংবাদমাধ্যম বিডি প্রতিদিনের রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশ নৌসেনার যুদ্ধ মহড়া চাক্ষুষ করার জন্য আমন্ত্রিত ছিলেন ওপার বাংলার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা থেকে শুরু করে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং জলসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সহ গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টারা।

এছাড়াও ওপার বাংলার নৌবাহিনীর মহড়ায় অন্তর্বর্তী সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের পাশাপাশি অংশ নিয়েছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উচ্চ পদাধিকারী সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তারা। প্রতিবেদন অনুযায়ী, 5 দিনব্যাপী যুদ্ধ মহড়ায় অংশ নিয়েছিল বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর ফ্রিগেট, ওপিভি, করভেট, মিসাইল বোট, মাইন সুইপার, পেট্রোলক্রাফট সহ একাধিক জাহাজ, নৌবাহিনীর মেরিটাইম পেট্রল এয়ারক্রাফট, সামরিক হেলিকপ্টার এবং স্পেশাল ফোর্স সোয়াডস। এগুলি ছাড়াও বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধ মহড়ায় অংশ নিয়েছিল বিমান বাহিনী এবং কোস্টগার্ড সহ সংশ্লিষ্ট মেরিটাইম সংস্থারগুলিও।

অবশ্যই পড়ুন: ধোনির CSK-র কারণেই রাসেলকে ছেড়ে দিয়েছে KKR, ফাঁস বিরাট তথ্য

বলাই বাহুল্য, এই মহড়ার মধ্য দিয়েই বঙ্গোপসাগরের বুকে নৌ জাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে বাংলাদেশ। এছাড়াও প্রতিরক্ষা মহড়ার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল নৌবাহিনীর সেল্ডার লঞ্চ সার্ফেস টু এয়ার মিসাইল ফায়ারিং, অ্যান্টি এয়ার র‍্যাপিড ওপেন ফায়ারিং, রকেট ডেপথ চার্জ ফায়ারিং, UAV অপারেশন, নৌকমান্ডোর সামরিক হেলিকপ্টার ভিজিট বোর্ড সার্চ অ্যান্ড সিজার সহ নৌযুদ্ধের একাধিক উন্নত রণকৌশল। রবিবার নৌ মহড়া শেষে উপস্থিত অতিথিরা বাংলাদেশের স্বার্থ সমুদ্র রক্ষার পাশাপাশি দেশটির অর্থনীতিতে নৌবাহিনীর সক্রিয় ভূমিকার প্রশংসা করেছিলেন।

 

Leave a Comment