“বড় গ্যারান্টার মোদী, ছোট গ্যারান্টার আমরা…!” CAA নিয়ে চাঞ্চল্যকর মন্তব্য শুভেন্দুর

Suvendu Adhikari

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: বছর ঘুরলেই ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন। আর এই নির্বাচনকে সামনে রেখেই এখন থেকে জোড় কদমে প্রস্তুতিতে নেমে পড়েছে শাসক দল থেকে শুরু করে বিরোধীদল গুলি। এদিকে আজ থেকেই শুরু SIR। তৈরি হচ্ছে BLO-রাও। এমতাবস্থায় CAA বা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের আওতায় আবেদনের আহ্বান জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বাংলাদেশ এবং অন্যান্য দেশ থেকে আসা হিন্দু শরনার্থীদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব CAA-তে আবেদনের পরামর্শ দিলেন তিনি।

SIR আবহে CAA নিয়ে উদ্বেগ

SIR নিয়ে এইমুহুর্তে রাজ্য জুড়ে ভয়ংকর বিতর্কের ঝড় উঠেছে। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম না থাকার ভয়ে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। এর জেরে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় একের পর এক আত্মহত্যা, মৃত্যুর অভিযোগও উঠছে। এদিকে স্বাভাবিকভাবেই ২০০২ সালের পর বাংলাদেশ থেকে যারা প্রবেশ করেছেন, তাদের নাম ভোটার তালিকায় না থাকার কথা। এই অবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন তাঁরা। কিন্তু তাঁদের আশ্বস্ত করল নতুন উপায় বাতলে‌ দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নিজের পাশাপাশি গ্যারান্টার হিসেবে দাঁড় করালেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। জানা গিয়েছে গতকাল অর্থাৎ সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুরে বিজেপির সাংগঠনিক জেলার ডাকে প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই CAA নিয়ে বড় নির্দেশ দিলেন তিনি।

কী বলছেন শুভেন্দু অধিকারী?

সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুরে শুভেন্দু অধিকারী জানান যে, “ রাজ্যের ভোটার তালিকায় বাংলাদেশি হিন্দুদের ভোট থাকবে। সেক্ষেত্রে ২০০৪ সাল পর্যন্ত যাদের ভারতে জন্ম, তাঁরা সুরক্ষিত থাকবে, ২০০৮ পর্যন্ত বাবা-মায়ের এখানে জন্ম, তাঁরাও সুরক্ষিত থাকবে। তাই ২০০২ সালের পর যাঁরা এসেছেন, তাঁরা CAA তে অ্যাপ্লাই করে দিন। আপনাদের বড় গ্যারেন্টার হলেন নরেন্দ্র মোদী এবং ছোট গ্যারেন্টার হলেন শুভেন্দু, সুকান্ত এবং শমীক।’ এর আগেও একাধিকবার এই আশ্বাস দিয়েছেন বিজেপি নেতা। শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, “মমতা ব্যানার্জি ও তাঁর পুলিশ বলছে CAA-তে আবেদন করবেন না, সব বন্ধ হয়ে যাবে। এটা ঠিক কথা নয়। পহেলগাঁওয়ের ঘটনায় যে বিতান অধিকারী মারা গিয়েছিলেন, তাঁর স্ত্রীকে আমরা ১৫ দিনের মধ্যে স্থায়ী নাগরিকত্ব শংসাপত্র আনিয়ে দিতে পেরেছি।”

আরও পড়ুন: ‘আমার মাধ্যমে …!’ অযোগ্যদের লিস্টে ভাইয়ের নাম থাকায় বড় বয়ান তৃণমূল বিধায়কের

উল্লেখ্য, মতুয়াদের মধ্যেও CAA নিয়ে আশ্বাস দিয়েছিলেন বিজেপি নেতা শান্তনু ঠাকুর। ঠাকুরবাড়ি থেকে আবার মতুয়া কার্ড বিলির ব্যবস্থাও করা হয়েছে। কিন্তু তবুও CAA নিয়ে এখনও সাধারণের মনে আতঙ্কের ছায়া কাটেনি। অন্যদিকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় CAA-তে আবেদন করতে বারণ করেছেন। তাঁর কথায়, ‘CAA ক্যাম্পের ফাঁদে পা দেবেন না। এই ফাঁদে পা দিলেই আসামের ১২ লক্ষ হিন্দু বাঙালির মতো অবস্থা হবে। সবাইকে ডিটেনশন ক্যাম্পে নিয়ে রাখা হবে।”

Leave a Comment