সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: দাদাগিরি কমার পথে ওলা উবেরের! কারণ, দিনের পর দিন বেসরকারি ট্যাক্সি অ্যাপের বিরুদ্ধে সামনে আসা নানারকম অভিযোগের স্থায়ী সমাধান করতে এবার আসছে সরকারি পরিষেবা ভারত ট্যাক্সি (Bharat Taxi)। আর এটি মূলত বেসরকারি অ্যাপ ওলা উবেরের ব্যবসায় সরাসরি থাবা বসাবে। তবে কবে নাগাদ আসছে এই ট্যাক্সি? বিস্তারিত জানুন আজকের প্রতিবেদনে।
দেশে চালু হতে চলেছে ভারত ট্যাক্সি
বেশ কয়েকটি রিপোর্ট অনুযায়ী খবর, ভারত ট্যাক্সি দেশের প্রথম সমবায় ট্যাক্সি পরিষেবা হিসেবেই চালু হবে। মূলত ডিসেম্বর নাগাদ এই পরিষেবা চালু হতে চলেছে। তবে নভেম্বর মাসে দিল্লিতে পাইলট প্রকল্প শুরু করা হবে। আর কেন্দ্রীয় সরকার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে ২০২৬ সালের মধ্যেই দেশের সমস্ত মেট্রো শহরে এই পরিষেবা চালু করার। এমনকি ২০৩০ সালের মধ্যে ১ লক্ষ চালক ভারত ট্যাক্সি পরিষেবায় যোগ দেবে বলেই আশা করছে কেন্দ্র সরকার।
आ गई ‘भारत-टैक्सी’, खत्म होगी प्राइवेट टैक्सी की मनमानी!
प्राइवेट टैक्सी सर्विस को लेकर आए दिन तमाम तरह की शिकायतें सामने आती रहती हैं. कभी कार की गंदगी, कभी मनमाना किराया तो कभी राइड कैंसिल कर देना. प्राइवेट टैक्सी या राइड हेलिंग ऐप्स की ऐसी तमाम शिकायतें दूर करने के लिए आ… pic.twitter.com/AdACjlDSBr
— NDTV India (@ndtvindia) October 24, 2025
তবে পাইলট প্রকল্পের জন্য ৬৫০ জন চালক এবং গাড়ির মালিক যুক্ত থাকবে বলে জানানো হয়েছে। অর্থাৎ, এই সমবায় অ্যাপ পরিষেবার জন্য আপাতত ৬৫০টি গাড়ি বরাদ্দ করা হচ্ছে। এরপর ডিসেম্বর থেকেই পরিষেবা সম্প্রসারিত হবে এবং ধীরে ধীরে দেশের সমস্ত শহরে তা বিস্তৃত হয়ে পড়বে। এমনকি দেশের প্রত্যেকটি জেলা সদর সহ গ্রামীণ এলাকাগুলোতেও সাধারণ মানুষ এই সরকারি ট্যাক্সি পরিসেবার সুবিধা পাবে।
আরও পড়ুনঃ এক বোতল খেলে মৃত্যু নিশ্চিত! এটিই বিশ্বের সবথেকে শক্তিশালী বিয়ার
বন্ধ হবে ওলা উবেরের দাপাদাপি
প্রসঙ্গত, দিনের পর দিন ওলা উবেরের মতো বেসরকারি ট্যাক্সি পরিবহন সংস্থার দাদাগিরির অভিযোগ উঠে আসছে। আর কেন্দ্রীয় সরকার এবার তা দমন করতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে। কেন্দ্রীয় সমবায় মন্ত্রক এবং ই-গভরমেন্টস ডিভিশনের উদ্যোগেই শুরু হচ্ছে দেশের এই প্রথম সরকারি ট্যাক্সি পরিষেবা, যার নাম দেওয়া হয়েছে ভারত ট্যাক্সি। এমনকি এই ট্যাক্সি পরিষেবার উপার্জনের গোটা অর্থটাই চালুকরা পাবেন। পাশাপাশি যাত্রীরা স্বল্প খরচে যাতায়াত করতে পারবে। এমনকি মালিকদের থেকেও কোনওরকম কমিশন কাটা হবে না। তার বদলে দৈনিক, সাপ্তাহিক অথবা মাসিক ভিত্তিতে ন্যূনতম ফি মেম্বারশিপ বাবদ কিছু টাকা দিতে হবে। আর সরকার দাবি করছে, এই মডেল চালকদের উপার্জন অনেকটাই বাড়াবে এবং সাধারণ যাত্রীদের উন্নত পরিষেবা দেবে।