বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: অনলাইন দুনিয়ায় কার্যত একচেটিয়া রাজত্ব করছে ফেসবুক। মেটা গোষ্ঠীর অধীনস্থ এই প্ল্যাটফর্মটি এবার তাদের ডিজিটাল যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু বদল আনতে চলেছে। যার কোপে পড়ে বিদায় নিতে পারে দীর্ঘ 16 বছর ধরে নেট নাগরিকদের আঙুলের ডগায় থাকা জনপ্রিয় লাইক বাটন (Facebook Like Button)। শোনা যাচ্ছে, খুব শীঘ্রই চোখের আড়ালে চলে যাবে বহু পুরনো ভাললাগা, প্রশংসা কিংবা সমর্থন প্রদর্শনের মাধ্যমটি! অতি পরিচিত লাইক বাটনটি ঠিক কবে নাগাদ উধাও হবে সেই তারিখও ঘোষণা করে দিয়েছে মার্কিন শিল্পপতি মার্ক জাকারবার্গের সংস্থাটি।
শীঘ্রই উধাও হয়ে যাবে ফেসবুকের লাইক বাটন!
নিউইয়র্ক পোষ্টের রিপোর্ট অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই আমেরিকান সংস্থা মেটা ঘোষণা করে দিয়েছে, আগামী বছর অর্থাৎ 2026 সালের 10 ফেব্রুয়ারি থেকে ফেসবুকের লাইক ও কমেন্ট বাটন বাইরের ওয়েবসাইট গুলিতে আর কাজ করবে না। সহজে বলতে গেলে, যেসব ব্লগ, সংবাদমাধ্যম, ই-কমার্স সাইড সহ অন্যান্য ওয়েবপেজে ফেসবুক লাইক বা কমেন্ট প্লাগ ইন ব্যবহার করা যেতো, এবার সেই সুবিধাই বন্ধ করে দিতে চলেছে মেটা। একই সাথে গ্রাহকদের স্বস্তি দিয়ে সংস্থাটি জানিয়েছে, ফেসবুক অ্যাপ কিংবা ওয়েবসাইটের ভিতরে থাকা লাইক বাটনটি এখনই বন্ধ হচ্ছে না। ব্যবহারকারীরা আগের মতোই লাইক বাটন চেপে নিজেদের মনের ভাব প্রকাশ করতে পারবেন।
অবশ্যই পড়ুন: রাসেল এবং আইয়ারকে ছেড়ে দেওয়া উচিত KKR-র, শেষ মুহূর্তে জানিয়ে দিলেন তিনি!
কেন সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে লাইক বাটনটি?
ফেসবুক ছাড়া বাকি অন্যান্য জায়গা থেকে লাইক বাটন সরিয়ে নেওয়ার প্রসঙ্গে কার্যত তোলপাড় নেট দুনিয়া। প্রশ্ন উঠছে, ঠিক কোন কারণে লাইক বাটনটি সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে? এ প্রসঙ্গে আগেই উত্তর জানিয়ে দিয়েছে জাকারবার্গের সংস্থা। মেটা বলেছে, মূলত ডেভলপার টুলগুলিকে সহজ এবং আধুনিক করার লক্ষ্যেই ফেসবুকের বাইরে অন্যান্য জায়গা থেকে লাইক বাটনটি সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
বলাই বাহুল্য, বিগত 1 দশকেরও বেশি সময় ধরে এই প্লাগিনগুলো থেকেই বহু গ্রাহক সংগ্রহ করেছে ফেসবুক। সাম্প্রতিক সময়ে সেগুলির ব্যবহার ক্রমশ কমছে। মেটা মনে করে, সাম্প্রতিককালে গোপনীয়তা আইন, ডেটা শেয়ারিং নীতির পরিবর্তন এবং নানান সামাজিক মাধ্যমের আগমনের কারণে ফেসবুকের বাইরের প্লাগিনগুলো এই মুহূর্তে অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। তাই আসন্ন ফেব্রুয়ারিতে সেগুলিতে থাকা লাইক বাটনটি বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেই ঠিক করেছে ফেসবুকের মালিকানাধীন সংস্থা।