বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: গৌতম গম্ভীর জামানায় লাল বলের ক্রিকেটে বারবার হোচট খেয়েছে ভারত। শেষবারের মতো ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের কাছে ধবলধোলাই হওয়ার পর বুধবার গুয়াহাটি স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে 408 রানের বিরাট ব্যবধানে হেরেছে টিম ইন্ডিয়া। দেশের মাটিতে এত বড় ব্যবধানে হারার নজির এর আগে কবে আছে বা আদৌ আছে কিনা স্মৃতিশক্তিতে চাপ দিয়েও মনে করা দুষ্কর। সবমিলিয়ে, টেস্ট ক্রিকেটে একেবারে বেহাল দশা ভারতের। তাতে 2025-27 বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রের পয়েন্ট তালিকায় ধাক্কা খেয়ে পাকিস্তানের নিচে টিম ইন্ডিয়া যার জেরে প্রধান কোচকে একবারে চাচাঁছোলা আক্রমণ করছেন ভক্তরা। সেই তালিকায় নাম উঠল বিরাট কোহলির দাদা বিকাশ কোহলিরও (Virat Kohli Brother On Gambhir)।
গৌতম গম্ভীরকে বেনজির আক্রমণ বিরাটের দাদার!
গতকাল, দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ভারতীয় দল চুনকাম হতেই সমালোচনার সিঁড়িতে উঠেছেন গৌতম গম্ভীর। লাল বলের ক্রিকেটে ভারতের এমন অন্ধকার দশার নেপথ্যে দায়ী করা হচ্ছে তাঁকেই। বুধবার থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রধান কোচকে ঘিরে উঠেছে কটাক্ষের ঝড়। এবার সেই তালিকায় নাম লেখালেন বিরাটের দাদাও। সম্প্রতি এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে বিকাশ লিখেছেন, “আগে আমরা বাইরের মাঠে জেতার জন্য খেলতাম। তবে আজ এমন সময় এসেছে যে আমাদের ঘরের মাঠেই ম্যাচ বাঁচানোর জন্য লড়াই করতে হচ্ছে। যখন বসিং করা হয় এবং অপ্রয়োজনীয়ভাবে সব বদলে ফেলা হয়, তখন এমনটাই হয়।”
পোষ্টের মধ্যে দিয়ে কী বোঝাতে চাইলেন বিরাটের দাদা?
কোহলির দাদা বিকাশ অবশ্য নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে গৌতম গম্ভীর বা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নাম উল্লেখ করেননি। তবে সমাজ মাধ্যমের পাতায় তার লেখা থেকে বোঝা গিয়েছে, লাল বলের ক্রিকেটে ঘরের মাঠে ভারতীয় দলের এমন দূর্দশার নেপথ্যে ঠিক কাকে এগিয়ে রাখতে চাইছেন তিনি। আসলে, গত বছর অর্থাৎ 2024 এর জুলাইয়ে কলকাতা নাইট রাইডার্সের সাফল্যের পর ভারতের প্রধান কোচের চেয়ার দখল করেন গম্ভীর। এরপর থেকে যতবার টেস্ট খেলতে নেমেছে ভারত, সিংহভাগ সময় হয় হার অথবা ম্যাচ ড্র হয়েছে।
অবশ্যই পড়ুন: শীতের হাওয়ায় রুক্ষ ভাব আর টানটান ত্বক! মুশকিল আসান করবে এই ঘরোয়া টোটকাগুলি
পুরনো পরিসংখ্যান ঘেঁটে জানা গেল, গম্ভীরের হাত ধরে ভারতীয় দল আজ পর্যন্ত মোট 19টি টেস্টে অংশ নিয়েছে। যার মধ্যে 10টি টেস্টে পরাজয়, দুটিতে ড্র এবং মাত্র 7 ম্যাচ জিততে পেরেছে টিম ইন্ডিয়া। যার কারণে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, গম্ভীর দায়িত্বে আসার পর থেকেই কেন লাল বলে ক্রিকেটে ভারতের এমন দুর্দশা? কোহলির দাদার বক্তব্যের মধ্যেও এমন প্রশ্নই খুঁজে পেয়েছেন অনেকে। যদিও পরবর্তীতে নিজের পোস্ট সমাজ মাধ্যম থেকে মুছে ফেলেছিলেন বিরাটের বিগ ব্রাদার।