বাঁকুড়ায় পঞ্চায়েত হাতছাড়া বিজেপির! তৃণমূলে নাম লেখালেন পঞ্চায়েত সদস্যা

Bankura

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: বড় পরিবর্তন রাজনৈতিক পরিসরে! রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপির কাছ থেকে আরও একটি পঞ্চায়েত জবরদখল করে নিল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার (Bankura) সোনামুখী ব্লকের মানিকবাজার গ্রাম পঞ্চায়েতে। শুধু তাই নয়, একই দিনে দল বদল করে বিজেপিতে যোগ দিল পার্শ্ববর্তী পূর্ব নবাসন গ্রাম পঞ্চায়েতের অপর দুই নির্বাচিত বিজেপি সদস্য।

পঞ্চায়েত হাতছাড়া বিজেপির!

উল্লেখ্য, গতবার গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাঁকুড়ার সোনামুখী ব্লকের মানিকবাজার গ্রাম পঞ্চায়েতের ৯ টি আসনের মধ্যে ৫ টি আসনে জয়লাভ করেছিল গেরুয়া শিবির বা বিজেপি। এবং বাকি ৪ টি আসনে জেতে তৃণমূল। অর্থাৎ এতদিন ওই পঞ্চায়েত এলাকা ছিল বিজেপির দখলে। কিন্তু গতকাল ওই পঞ্চায়েতও বিজেপির থেকে হাতছাড়া হয়ে যায়। কারণ গতকাল অর্থাৎ রবিবার, বিজেপির টিকিটে জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যা শ্যামলী লোহার তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তবে তিনি শুধু একা নন, একই দিনে সোনামুখীর পূর্ব নবাসন গ্রাম পঞ্চায়েত থেকেও বিজেপির আরও দুই সদস্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।

প্রকাশ্যে এল দল ছাড়ার আসল কারণ!

স্থানীয় রিপোর্ট মোতাবেক, সোনামুখীর পূর্ব নবাসন গ্রাম পঞ্চায়েতটি ২৩ আসনের মধ্যে বিজেপির সদস্য সংখ্যা এখন ১৬, তাই আপাতত সোনামুখীর পূর্ব নবাসন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা বিজেপির হাতেই রয়েছে। সেক্ষেত্রে ঘাসফুল শিবিরের দাবি, আগামী দশ দিনের মধ্যে অনাস্থা প্রস্তাব এনে এই পঞ্চায়েতের দখল বিজেপির থেকে কেড়ে নেবে। মানিকবাজার গ্রাম পঞ্চায়েত দলবদল করা নিয়ে পঞ্চায়েত সদস্যা শ্যামলী লোহার বলেন, “দলে থেকে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছিল। আর মানুষকে কাজ দিতে পারছি না, তাতে মানুষ প্রশ্ন করতে শুরু করে। তৃণমূলে এসে এলাকার উন্নয়ন করতে পারব।”

আরও পড়ুন: ৫২২ টাকার দিনমজুর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর নাতি

দলে ভাঙন নিয়ে কী বলছেন বিজেপি নেতা?

নির্বাচনের আগে এইভাবে একের পর এক সদস্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করায় গেরিয়া শিবিরে ধীরে ধীরে বাড়ছে চাপ। তবে মুখে সেই চাপ প্রকাশ না করলেও বিজেপি অভিযোগ করছে, দলের সদস্যরা স্বেচ্ছায় নয়, পুলিশ ও প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে জোর করে তাদের তৃণমূলে যোগ দিতে বাধ্য করা হয়েছে। সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামী বলেন, “তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনেক লম্বা লম্বা কথা বলেছেন। কিন্তু ওখানে কেউ স্বেচ্ছায় যাবেন না। ওটা ডুবন্ত জাহাজ।”

এদিকে বাঁকুড়ায় একের পর এক পঞ্চায়েতে বিজেপি সদস্য তৃণমূলে যোগদান করায় তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুব্রত দত্ত বলেন, “জেলা জুড়ে বিজেপি মহলে একটা হা হুতাশ শুরু হয়েছে। বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যরা শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। বিষ্ণুপুরে বেশ কয়েকজন কর্মী সমর্থকও কিছুদিন আগে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন।”

Leave a Comment