প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: নিরাপত্তা জনিত কারণে বড় সিদ্ধান্ত, আজ দুপুর থেকে বাংলাদেশের (Bangladesh) ঢাকার ভারতীয় ভিসাকেন্দ্র বন্ধ করল দিল্লি! কিন্তু এইমুহুর্তে নিরাপত্তাগত কারণটা ঠিক কী, তা যেমন নয়াদিল্লি বা ভিসাকেন্দ্রের তরফে স্পষ্ট করা হয়নি, তেমনই মুহাম্মদ ইউনূস প্রশাসনের তরফেও এই বিষয়ে এখনও কিছু বলা হয়নি। এদিকে আজই দিল্লিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম রিয়াজ হামিদুল্লাকে তলব করল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। সম্প্রতি মৌলবাদীদের উস্কানিতে বাংলাদেশে ভারত বিদ্বেষ চরম আকার নিয়েছে। অভিযোগ নেপথ্যে কলকাঠি নাড়ছে মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। এবার সেই হিংসা চরম আকার ধারণ করল।
ঢাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ভারতীয় ভিসাকেন্দ্র
স্থানীয় রিপোর্ট অনুযায়ী, আজ অর্থাৎ বুধবার দুপুর ২টো থেকে ‘নিরাপত্তাগত কারণ’ দেখিয়ে ঢাকায় যমুনা ফিউচার পার্কে অবস্থিত ভারতীয় ভিসা আবেদনকেন্দ্র বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল নয়াদিল্লি। আর এই বিষয়টি বাংলাদেশের ‘ইন্ডিয়ান ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার’-এর তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে কবে বা কতক্ষণ পর্যন্ত এটি বন্ধ থাকবে, তা নিয়ে বিস্তারিতভাবে ওই বিবৃতিতে কিছু বলা হয়নি। কেবল বলা হয়েছে, যে সমস্ত ভিসা আবেদনকারী বুধবারের জন্য ‘স্লট’ বুক করেছিলেন, তাঁদের জন্য নতুন তারিখ এবং সময় নির্ধারণ করা হবে।
দূতাবাসের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত ভারত
জনপ্রিয় সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, বাংলাদেশের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের একাংশের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি র নেতা হাসনাত আবদুল্লার ভারতবিরোধী বক্তৃতা করেছিলেন। তিনি উত্তর-পূর্ব ভারতের ‘সেভেন সিস্টার্স’-কে ভারতের মানচিত্র থেকে আলাদা করে দেওয়ার ডাক দিয়েছিলেন। শুধু তা-ই নয়, উত্তর-পূর্ব ভারতের উদ্বাস্তুদের আশ্রয় দেওয়ার কথাও বলেছিলেন। আর তার পরেই ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাসের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করে ভারত সরকার। পাশাপাশি নয়াদিল্লির তরফে কড়া ভাষায় কূটনৈতিক প্রতিবাদও করা হয়। আর এই আবহে আজ দুপুরে দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম রিয়াজ হামিদুল্লাকে ডেকে পাঠায় ভারতের বিদেশ মন্ত্রক।
আরও পড়ুন: খসড়া তালিকায় নাম, তাঁর আগেই SIR আতঙ্কে মৃত্যু উলুবেড়িয়ার জাহিরের
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে জাতীয় সংসদের নির্বাচন হতে চলেছে ২০২৬ এর ১২ ফেব্রুয়ারি। ওই দিন একই সঙ্গে হবে জুলাই সনদ নিয়ে গণভোটও। আর তাতেই রাজনৈতিক মেজাজ বেশ উত্তপ্ত। এমতাবস্থায় বাংলাদেশে বিক্ষিপ্ত হিংসার ঘটনা ঘটতে শুরু করেছে ভিন্ন জায়গায়। বিভিন্ন নেতাদের মুখে ভারতবিরোধী বক্তৃতাও শোনা যাচ্ছে। যার জেরে দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে ফের আরও একবার উত্থান-পতন দেখা যাচ্ছে। তাই বোঝাই যাচ্ছে ভোটের আগে অশান্তি আরও বাড়তে পারে ওপার বাংলায়।