বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: বাংলাদেশে (Bangladesh) মাথার ওপর ছাদ হারিয়েছে আওয়ামী লিগ। বঙ্গবন্ধু মুজিব কন্যা তথা দলের প্রধান মাথা শেখ হাসিনা বর্তমানে ভারতে। ফের কবে দেশে ফিরবেন, বা আদৌ আর বাংলাদেশে ফেরা হবে কিনা তা নিয়ে গভীর সংশয় রয়েছে ওপারের আওয়ামী লিগ নেতাকর্মীদের মধ্যে।
ফলত, ক্ষমতা দখলের আশা ছেড়ে দিয়ে বর্তমানে বিরোধিতার পথই বেছে নিয়েছেন ওদেশের বহু হাসিনা সমর্থক। এমতাবস্থায়, হঠাৎ উঠে এলো এক বড় খবর। শোনা যাচ্ছে, বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে টানাপোড়েনের আবহে হঠাৎ ওপার বাংলার সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামানকে খুনের হুমকি দিয়ে বসলেন হাসিনার দল আওয়ামী লিগের শীর্ষস্থানীয় নেতা। পার পাননি, মহম্মদ ইউনূসও।
জামান, ইউনূস সহ তিন বড় ব্যক্তিত্বকে খুনের হুমকি
ওপার বাংলার বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, আওয়ামী লিগের এক নেতা, নাম মহম্মদ আলমগির, তিনি নাকি সোশ্যাল মিডিয়ায় রক্তমাখা ধারালো ছুরি উঁচিয়ে বাংলাদেশের তিন প্রধান ব্যক্তিত্ব অর্থাৎ সেনাপ্রধান জামান, প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস ও বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতিকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছেন।
মূলত সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করে, ওপারের তিন প্রধান ব্যক্তিত্বকে প্রাণনাশের হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন হাসিনার দল আওয়ামী লিগের ওই শীর্ষস্থানীয় নেতা। যেই খবর সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হতেই, অ্যাকশনে নামে বাংলাদেশ পুলিশ।
গ্রেফতার হয়েছেন অভিযুক্ত
জানা যাচ্ছে, সমাজ মাধ্যমে ভিডিও পোস্ট করে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস, সেনাপ্রধান জামান সহ ওপার বাংলার বিচারপতিকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়ার পরই শুক্রবার রাতে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি সদর থেকে ওই অভিযুক্ত আওয়ামী লিগ নেতাকে গ্রেফতার করে বাংলাদেশ পুলিশ।
প্রসঙ্গত, নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে আওয়ামী লিগের ওই নেতা বাংলাদেশের তিন প্রধান ব্যক্তিত্বকে রক্তমাখা ছুরি হাতে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি অশ্রাব্য ভাষায় একাধিক কটুক্তি করেছিলেন। যেই দৃশ্য সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হতে না হতেই পুলিশের হাতে আটক হন তিনি।
অবশ্যই পড়ুন: মস্তিষ্কে ব্যাপক রক্তক্ষরণ, দিল্লির হাসপাতালেই মৃত্যু হল ২০০৩ মুম্বই হামলার মূল চক্রীর!
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে জল ঘোলা হয়েছে অনেকটাই। শেষ পর্যন্ত ওপারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস স্পষ্ট করেছেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতেই হবে জাতীয় নির্বাচন। তবে এমন ঘোষণার পাশাপাশি নতুন বাংলাদেশ দিবস নিয়েও বিরাট সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।
জানা যায়, মূলত নিজের সরকার গঠনের দিনটিকে অর্থাৎ 8 আগস্ট নতুন বাংলাদেশ দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইউনূস। আর এমন পদক্ষেপের পরই নিজের শিষ্যদেরই ক্ষোভের মুখে পড়েছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী। আসলে, অন্যান্য অপকর্ম মুখ বুঝে মেনে নিলেও বাংলাদেশের স্বাধীনতা নিয়ে কোনও ছেলে খেলা পছন্দ করছেন না ইউনূসের অনুগামীরাই।