বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ওপার বাংলা থেকে বেশ কয়েকবার অভিযোগ এসেছে, বাংলাদেশের বহু জমি নাকি দখল করে নিচ্ছে ভারত। পদ্মা পাড়ের দেশের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমেও একেবারে ফলাও করে ছাপানো হয়েছে সেই খবর। শুধু তাই নয় সোশ্যাল মিডিয়াতেও অনেককেই দাবি করতে দেখা গিয়েছে, ভারত নাকি বাংলাদেশের 60 কিলোমিটার এলাকা দখল করে রেখেছে। এমন বক্তব্য আদৌ কতটা সত্যি? মুখ খুলল বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (BGB On Indian Army)।
সত্যিই কি বাংলাদেশের জমি দখল করে রেখেছে ভারত?
সম্প্রতি গ্লোবাল গভারনেন্স নামক একটি ওয়েবসাইটের রিপোর্টেও দাবি করা হয়েছিল, ভারত নাকি বাংলাদেশের ভেতরে অন্তত 60 কিলোমিটার জায়গা দখল করে রেখেছে। মূলত চিকেন নেক অঞ্চলে ভারতীয় সেনাবাহিনী নিজেদের নিয়ন্ত্রণের পরিধি বাড়াচ্ছে! মূলত এমন সব দাবির সত্যতা প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের লালমনিহাট ব্যাটেলিয়ানের কম্যান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদি ইমাম জানিয়েছেন, “পড়শি দেশ আমাদের কোনও জমি দখল করে রাখেনি। এই ধরনের তথ্য সম্পূর্ণ ভুয়ো। এই ধরনের অসত্য বক্তব্য মূলত সীমান্তবর্তী এলাকাগুলির মানুষকে অস্থির করে তোলার জন্যই ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
না বললেই নয়, এদিন ভারতের তরফে সেনা ছাউনি তৈরির প্রসঙ্গ নিয়েও কথা বলেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের ওই কমান্ডিং অফিসার। তাঁর বক্তব্য ছিল, “ভারতীয় সেনাবাহিনী নিজেদের জায়গাতেই যা করার করছে। তারা নিজেদের এলাকাতেই ছাউনি তৈরি করছে। এতে আমাদের উদ্বেগের কিছু নেই। যতক্ষণ না পর্যন্ত আমাদের সর্বভৌমত্ব ক্ষুন্ন হচ্ছে ততক্ষণ সেটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এই ধরনের বিষয় আমাদের কথা বলার জায়গা নেই।”
অবশ্যই পড়ুন: ইডেনে আজব জুতো পরেই প্রথম ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ইতিহাস লিখলেন ঋষভ পন্থ
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সিংহাসনে বসার পর থেকেই নানান সময় ভারতের চিকেন নেক নিয়ে মন্তব্য করেছেন ওপার বাংলার প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। তাছাড়াও সাম্প্রতিককালে গোয়েন্দা তথ্য থেকে যেসব খবর উঠে আসছে তাতে চিকেন নেক সংলগ্ন সীমান্ত অঞ্চলগুলিতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে নয়া দিল্লি। সম্প্রতি উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া, অসমের ধুবড়ি এবং বিহারের কিষাণগঞ্জ এই তিন এলাকায় নতুন ব্যাটেলিয়ান অফিস বা সামরিক ঘাঁটি তৈরি করা হয়েছে। সেই সাথে প্রতিটি ঘাঁটিতে অন্তত 900 জন করে জাওয়ানকে মোতায়েন করতে চলেছে কেন্দ্র।