বাংলাদেশে অশান্তির আবহে বিশেষ সতর্ক কলকাতা পুলিশের, বড়দিনের আগে নজরদারি

Kolkata Police

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুকে ঘিরে বাংলাদেশে ফের গভীর সংকট নেমে এসেছে। একের পর এক সংবাদমাধ্যমের দপ্তর, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ঐতিহাসিক বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি, ধর্ম অবমাননার অভিযোগে এক হিন্দু যুবককে পিটিয়ে হত্যা করে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার মতো নৃশংস ঘটনাও সামনে এসেছে। সব মিলিয়ে ওপার বাংলায় দেশের রাজনীতিতে চরম আতঙ্ক, হিংসা ও অনিশ্চয়তার ছায়া বেড়েই চলেছে। এবার সেই ঘটনার ছায়া যাতে বাংলায় না পরে তার জন্য বেশ সতর্ক হল কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)।

কী বললেন পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা?

রিপোর্ট মোতাবেক গত শুক্রবার কলকাতা পুলিশের উদ্যোগে আলিপুর বডিগার্ড লাইনে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সমাপ্তি অনুষ্ঠান ছিল, সেখানে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা। তিনি জানিয়েছেন, আগামী ২৫ ডিসেম্বর এবং বর্ষবরণের রাত আসন্ন। তাই সেই উৎসবের কথা মাথায় রেখে পার্ক স্ট্রিট সহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলিতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। শহরের সংবেদনশীল এলাকাগুলিতে দিনের পাশাপাশি রাতের নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। বর্ষবরণের রাতে অনেক গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠান চলবে। সেক্ষেত্রে হোটেল, রেস্তোরাঁ, গেস্ট হাউস-সহ ভিড় জমার সম্ভাবনা রয়েছে, তাই সমস্ত জায়গায় বাড়তি পুলিশি নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

‘মেসি কাণ্ড’-র প্রসঙ্গ তুললেন পুলিশকর্তা

বাংলাদেশের ঘটনার প্রেক্ষিতে শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে কোনওভাবেই বিঘ্নিত না হয়, সে দিকে কড়া নজর রেখেছে লালবাজার। কলকাতা পুলিশের সমস্ত ইউনিটকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে শহরজুড়ে নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে। এদিন কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা সল্টলেকে সাম্প্রতিক ‘মেসি কাণ্ড’-এর প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তিনি বলেন ইডেনে আসন্ন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ম্যাচে যাতে কোনও রকম নিরাপত্তার ঘাটতি না থাকে, সে বিষয়ে এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। বিশেষ করে সল্টলেক স্টেডিয়ামে যে সব নিরাপত্তাজনিত খামতি নজরে এসেছিল, সেগুলিতে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন: বেটিং অ্যাপ মামলায় বড় ধাক্কা! অঙ্কুশ-মিমির কয়েক লাখ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ED

বাংলাদেশের অশান্তির কাণ্ডে, ‘গুজরাতের কসাই বাংলাদেশের কসাইকে আশ্রয় দিয়েছে’, এই মন্তব্য করে ভারতকে প্রকাশ্য হুমকি দিয়েছেন ওপার বাংলার কট্টরপন্থী ছাত্রনেতা আলি আহসান জোনায়েদ। তিনি হুশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, প্রয়োজনে ‘৩০ কোটি বাংলাদেশিকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতায় যেতে পারি।’ এছাড়াও তিনি অভিযোগ করেন, ‘গুজরাতের কসাই বাংলাদেশের কসাইকে আশ্রয় দিয়েছে,’ এক্ষেত্রে তিনি যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঘিরে মন্তব্য করেছেন সেটা কারোর জানতে বাকি নেই।

Leave a Comment