বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ইউনূস মুখে বাতেলা ঝাড়লেও আদতে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু অত্যাচার এখনও অব্যাহত! ওপার বাংলার মাটিতে সংখ্যালঘুদের জীবন যে বিপন্ন সে কথা হয়তো আলাদা করে বুঝিয়ে দেওয়ার দরকার নেই কাউকেই। এবার বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে সেই উদ্বেগই প্রকাশ করল ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন।
আমেরিকার আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক কমিশন অর্থাৎ ইউনাইটেড স্টেটস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম জানিয়েছে, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের জীবন বিপন্ন। আজও তারা স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারছেন না! স্বাধীন ধর্মাচরণেও রয়েছে বাধা!
কী বলছে ট্রাম্প প্রশাসন পরিচালিত সংস্থার ওই রিপোর্ট?
গত মে মাসে বাংলাদেশ সফরে আসে আমেরিকার ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক কমিশনের সদস্যরা। বাংলাদেশের মাটিতে পা রেখেই ও দেশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিক থেকে শুরু করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠকে বসেন আমেরিকার ওই সংস্থাটির অফিসিয়ালরা।
বলা চলে, একেবারে সরেজমিনে খতিয়ে দেখে, তৈরি করা হয় একটি রিপোর্ট। গতকাল অর্থাৎ শনিবার প্রকাশিত সেই রিপোর্টে স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে, 2024 সালের জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনের পর হাসিনার দেশত্যাগ এবং সবশেষে আগস্টে গিয়ে সেনাবাহিনীর সমর্থনে ক্ষমতায় বসেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস।
কিন্তু তা সত্বেও বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা যায়নি। ওই রিপোর্ট বলছে, আজও ইউনূসের দেশের সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা অনিশ্চিত, সেই সাথেই ঝুঁকির মধ্যে দিয়ে প্রতিদিন জীবন যাপন করছেন তারা। এরপরই বাংলাদেশ আন্দোলনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে পুলিশের একটি রিপোর্টকে সামনে রেখে আমেরিকার ওই সংস্থা তাদের রিপোর্টে জানায়, 5 আগস্ট থেকে 20 আগস্টের মধ্যে বাংলাদেশে 1,769টি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।
অবশ্যই পড়ুন: বয়স ৩.২ বিলিয়ন বছর! ঝাড়খণ্ডের সিংভূম এলাকাই নাকি পৃথিবীর প্রথম ভূমি
এছাড়াও আমেরিকার সরকার দ্বারা পরিচালিত ওই সংস্থার রিপোর্ট এও জানায়, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ফেব্রুয়ারিতে মহিলাদের একটি ফুটবল ম্যাচ বাতিল করে দিয়েছিল। একই সাথে বাংলাদেশে যে এখনও ব্লাসফেমি সংক্রান্ত ধারা বলবৎ রয়েছে এবং সেখানে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ফৌজদারী অপরাধী হিসেবে গণ্য করা হয় সে কথা উল্লেখ করে ওই সংস্থা। সব মিলিয়ে এক রিপোর্টেই বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার, তাদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত অনিশ্চয়তা সহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রাম্প সরকার পরিচালিত ওই সংস্থা। যার জেরে ফের আরও একবার পোড়া মুখেই নতুন করে কালি লাগল ইউনূস সরকারের! ( সোর্স: সংবাদ প্রতিদিন )