সৌভিক মুখার্জী, অসম: উত্তর-পূর্ব ভারতে জঙ্গি কার্যকলাপ চালানোর চক্রান্ত ভেস্তে দিলে অসম পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (Assam STF)। বাংলাদেশ ভিত্তিক নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশের শাখা সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে অসম এবং ত্রিপুরা থেকে এবার মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার গভীর রাতে চালানো একযোগে অভিযানে এই গ্রেফতার করা হয় বলে সেনা সূত্র মারফৎ খবর।
দ্য হিন্দুর প্রতিবেদন অনুযায়ী, অসম থেকে মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য জায়গাগুলি হল বাকসা, বরপেটা, চিরাং, দরং জেলা। আর ত্রিপুরা থেকে গ্রেফতার হয়েছে একজন। গ্রেফতার হওয়া সকলেই সদ্য গঠিত ইমাম মাহমুদার কাফিলা নামক এক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ উঠছে।
বাংলাদেশ থেকেই কি আসছিল নির্দেশ?
এ বিষয়ে গুয়াহাটি পুলিশ কমিশনার পার্থসারথি মহন্ত জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়েছে। আর ধৃত জঙ্গিরা সরাসরি বাংলাদেশে থাকা জঙ্গিদের নির্দেশেই কাজ করছিল। তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল উত্তর-পূর্ব ভারতকে অশান্তির মধ্যে ফেলা। এই গোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরেই গোপনে সংগঠন বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছিল।
আরও পড়ুন: চলন্ত গাড়িতে তিন ঘণ্টা ধরে পাশবিক নির্যাতন, ফরিদাবাদে নৃশংস গণধর্ষণ
জানিয়ে রাখি, ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে ইমাম মাহমুদার কাফিলা সংগঠনটি গঠন করেছিলেন জুয়েল মাহমুদ ওরফে ইমাম মাহমুদ হাবিবুল্লাহ। তিনি জামাত-উল-মুজাহিদিন জঙ্গি সংগঠনের প্রাক্তন সদস্য। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে বাংলাদেশ সরকার পরিবর্তনের পর আনসারুল্লাহ বাংলা টিম এবং আল কায়েদা ইন ইন্ডিয়া সাবকন্টিনেন্ট সংগঠনগুলি মূলত ইমাম মাহমুদার কাফিলাকে সক্রিয় করতে সাহায্য করেছিল। এমনকি নিরাপত্তা সূত্রে খবর, বরপেটা রোডের বাসিন্দা নাসিম উদ্দিন ইমাম মাহমুদার কাফিলা অসম শাখার প্রধান হিসেবে কাজ করছিল।
#WATCH | Guwahati | STF chief of Assam Police, Dr Partha Sarathi Mahanta says, “11 operatives of Imam Mahmuder Kafila (IMK)from Assam and Tripura. The incharge of Assam Imam Mahmuder Kafila, Tamim, has also been arrested. We have seized a lot of incriminating documents. They had… pic.twitter.com/dAoLvp8lFP
— ANI (@ANI) December 30, 2025
আরও পড়ুন: “EVM নয়, ভোটচুরি হচ্ছে ভোটার তালিকায় তাও কমিশনের অফিসে” অভিযোগ অভিষেকের
এদিকে জানা যাচ্ছে, কিছু সদস্য বৈধ পাসপোর্ট এবং ভিসার মাধ্যমে বাংলাদেশে গিয়েছিল। আর সেখানে বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ নেওয়ার অভিযোগও উঠছে। এমনকি মেঘালয়ে অসম এবং বাংলাদেশের জঙ্গিদের মধ্যে বৈঠক হয়েছে এমনটাও খবর। পাশাপাশি তদন্তে বাংলাদেশ এবং ভারতের ইমাম মাহমুদার কাফিলার সদস্যদের মধ্যে ইউপিআই এর মাধ্যমে টাকা পাঠানো হয়েছে বলেও রিপোর্ট। ইতিমধ্যেই ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদেরকে আগামীদিন আদালতে তোলা হবে।