সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ যত সময় এগোচ্ছে ততই পরিধি বাড়ছে ভারতীয় রেলের। সেইসঙ্গে একের পর এক পালকও জুড়ছে রেলের মুকুটে। যদিও আজকের এই আর্টিকেলে কথা হবে পূর্ব রেলের সবথেকে ৫টি ছোট রেলরুট (Bengal Shortest Rail Route )নিয়ে। এই রেলরুটগুলি দিয়ে হয়তো আপনি রোজ যাতায়াত করেন কিন্তু এতদিন হয়তো খেয়াল করেননি বিশেষ কিছু। এই রুটগুলিতে প্রতিদিন হয়তো একটি বা দুটি বা তিনটি ট্রেন চলে। আবার এমন কিছু রুট রয়েছে যেখানে ৫০টিরও বেশি ট্রেন চলে। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। চলুন বিশদে জেনে নেওয়া যাক।
রেলের সবথেকে ৫টি ছোট রেলরুট কোনগুলি?
আজ প্রথমেই যে রুটটি নিয়ে তথ্য দেব সেটি হল নৈহাটি জংশন থেকে কল্যাণী সীমান্ত অবধি একটি রুট। অনেকেই হয়তো জানেন না যে নৈহাটি জংশন থেকে কল্যাণী সীমান্তের দূরত্ব মাত্র ১৫ কিলোমিটার। মাঝে রয়েছে হালিশহর, কাঁচরাপাড়া, কল্যাণী, কল্যাণী শিল্পাঞ্চল, কল্যাণী সীমান্ত স্টেশন। মাঝে রয়েছে মাত্র ৬টি স্টেশন। এই দুই স্টেশনের মধ্যে সারাদিনে মাত্র ১টি ট্রেনই চলে। সময় ভোর ৪:১০ মিনিটে। ট্রেনটি নৈহাটি থেকে ছেড়ে কল্যাণী সীমান্তে ঢোকে ৪:৪৫ মিনিটে।
আরও পড়ুনঃ ফিস্কড ডিপোজিটের থেকে বেশি রিটার্ন, সুরক্ষিত হবে সন্তানের ভবিষ্যৎ, দারুণ স্কিম LIC-র
দ্বিতীয় হল শান্তিপুর জংশন থেকে কৃষ্ণনগর জংশন। শান্তিপুর থেকে কৃষ্ণনগরের মোট দূরত্ব ১৫ কিলোমিটার। জানলে অবাক হবেন, সারাদিনে এই রুটে মাত্র ১টি ট্রেন চলে। সকাল ৬:৫৫ মিনিটে রানাঘাট থেকে ছেড়ে শান্তিপুর যায়। সেখানে ট্রেনটি প্রায় ৪০ মিনিট অপেক্ষা করে সকাল ৮টা নাগাদ ছেড়ে কৃষ্ণনগর সিটি জংশন স্টেশনে পৌঁছায়। এরপর ৯টা নাগাদ ট্রেনটি কৃষ্ণনগর থেকে ছেড়ে শান্তিপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। তৃতীয় নম্বরে রয়েছে ব্যান্ডেল জংশন থেকে নৈহাটি জংশন যাওয়ার একটি রেল রুট। দুই স্টেশনের মধ্যে দূরত্ব মাত্র ৮ কিলোমিটার। মাঝে রয়েছে হুগলী ঘাট এবং গরিফা স্টেশন। জানলে অবাক হবেন, এই লাইনটি হাওড়া ডিভিশনের সঙ্গে শিয়ালদা ডিভিশনকে যুক্ত করেছে। এই লাইনে সারাদিনে ৫০জোড়ারও বেশি ট্রেন চলাচল করে। এই গুরত্বপূর্ণ লাইনের মাধ্যমে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ হাওড়া ডিভিশন থেকে শিয়ালদা এবং শিয়ালদা ডিভিশন থেকে হাওড়া ডিভিশনে ঢুকছেন গঙ্গা নদী পার করে।
কৃষ্ণনগর-আমঘাটা, হাওড়া স্টেশন-বেলুড় মঠ
এবার আসা যাক চতুর্থ নম্বর রেল রুট নিয়ে যেটি একদম সদ্য শুরু হয়েছে। আজ কথা হচ্ছে কৃষ্ণনগর থেকে আমঘাটা অবধি ট্রেন পরিষেবা নিয়ে। এই রুটের দূরত্ব মাত্র ৭ কিলোমিটার। সারাদিনে মাত্র ৩টি ট্রেন চলে এই রুটে বলে খবর। এখন স্বল্প দূরত্বের রুট হলেও ভবিষ্যতে এই লাইনের মাধ্যমেই মানুষ নবদ্বীপ ধাম সহ নানা জায়গায় পৌঁছাতে পারবেন। এবার আসা যাক হাওড়া স্টেশন-বেলুড় মঠ রেল রুট প্রসঙ্গে। সারাদিনে এই লাইনে মাত্র ২টি ট্রেন চলে। এর দূরত্ব মাত্র ৬ কিমি। একটি সকালে এবং একটি বিকেলে। প্রথম ট্রেনটি হাওড়া থেকে ৭:৪০ মিনিটে ছাড়ে এবং এটি বেলুড় মঠে ঢোকে ৮:০৫ মিনিটে। দ্বিতীয় ট্রেনটি হাওড়া থেকে বিকেল ৪:০৫ মিনিটে হাওড়া স্টেশন থেকে ছাড়ে।