সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ বাংলার ডিএ মামলায় (Bengal DA Case) কবে চূড়ান্ত রায়দান করবে সুপ্রিম কোর্ট? শীঘ্রই কি এই নিয়ে শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে নাকি মামলাটি ফের একবার হিমঘরে চলে গিয়েছে? এই নিয়ে বড় মন্তব্য করলেন মামলাকারী এবং কর্মচারী সংগঠনের নেতা মলয় মুখোপাধ্যায়। চলুন জেনে নেবেন বিশদে।
হিমঘরে বাংলার DA মামলা?
ডিএ নিয়ে চূড়ান্ত শুনানি তো হয়েছে, কিন্তু রায়দান এখনও হয়নি। কবে হবে সেই নিয়ে কিছু পরিষ্কার জানা সম্ভব হচ্ছে না। এদিকে বাংলার সরকারি কর্মীদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে, মন ভাঙছে অনেকের। কিন্তু রায়দান না হওয়া অবধি কারোর কিছু করার নেই। অনেকেই আছেন যারা দীর্ঘদিন ধরে পঞ্চম বেতন পে কমিশনের আওতায় বকেয়া ডিএ নিয়ে আন্দোলন করেছেন, কিন্তু আজ বেশিরভাগ শারীরিক এবং মানসিকভাবে বিদ্ধস্ত। অনেকে হয়তো আশাই ছেড়ে দিয়েছেন। মানসিক চাপ হচ্ছে অনেকের। এসবের দায় কে নেবে? উঠছে প্রশ্ন। গত ৭ সেপ্টেম্বর ডিএ মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। এদিকে এখন নভেম্বর মাস শেষ হতে চলল। টানা তিন মাস কেটে যাওয়ার পরেও এখনো অবধি চূড়ান্ত রায়দান করতে পারেনি শীর্ষ আদালত। এই বিষয়েই এবার মন্তব্য করলেন মলয়বাবু।
এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ‘গত ৭ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের তরফে একটি অর্ডার বের করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল সরকারের যদি এ বিষয়ে কিছু বলার থাকে তাহলে তা ২ সপ্তাহের মধ্যে জানাতে হবে। আমাদেরকেও ৭ দিনের সময় দেওয়া হয়েছিল লিখিত কিছু জানানোর থাকলে সে বিষয়ে। তবে মাঝে দুর্গাপুজো থেকে শুরু করে কালীপুজোর ছুটি ছিল মাঝে সেপ্টেম্বর অক্টোবর মাসে। বর্তমানে “Heard and Reserved” রয়েছে। এখনও রায় না বেরোনোয় আমরা যেমন উদ্বিগ্ন তেমন কর্মচারী সমাজও উদ্বিগ্ন। আমরাও চাই যাতে সর্বোচ্চ আদালত যত শীঘ্র সম্ভব এই মামলার রায় দিয়ে দিক। তবে এটা তো আমাদের হাতে নেই। এটা সুপ্রিম কোর্টের উপর নির্ভর করছে।’
কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় জানান, ‘বহু অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী রয়েছেন যারা চাইছেন শেষ বয়সে একটু স্বাচ্ছন্দ্যে কাটাতে হাতে বকেয়া টাকাটা আসুক। এহেন পরিস্থিতিতে আমরাও চাইছি যে সুপ্রিম কোর্ট তাড়াতাড়ি সম্ভব মহার্ঘ্য ভাতা মামলার রায়দান করুক। নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে রায়দান হলেও হতে পারে। না হলে ডিসেম্বর মাসে হতে পারে। আমাদের মনে হচ্ছে এ বছর অবশ্যই রায় প্রকাশ পাবে। কর্মচারী ও অবসরপ্রাপ্তকর্মীদের আর কয়েকটা দিন অপেক্ষা করার অনুরোধ করব।’ তাহলে কি মানতে হবে বাংলার ডিএ মামলা হিমঘরে? এই বিষয়ে মলয়বাবু বলেন, ‘আমাদের এটা কখনই মনে হয়না যে ডিএ মামলার রায় ঠান্ডা ঘরে চলে গেছে।’
কী বলছেন সাধারণ মানুষ?
একজন পোস্টের কমেন্টে লিখেছেন, ‘বিচারক টাকা খেয়ে বসে আছে। সুতরাং DA ফাইল টাকার গরমে আপাতত 2025 পর্যন্ত ঠান্ডা ঘরে চলে গেছে।’ অপর একজন লিখেছেন, ‘বিচারপতিদ্বয় আপাতত এই মামলা’র রায় দান করার বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করার অবকাশ পান নি তাই আপনারা অহেতুক …………… অবশ্যই নিম্ন গ্রুপের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের খুবই কষ্টের সাথে…………..।’ একজন লিখেছেন, ‘বকেয়া DA না পাওয়ার মানসিক চাপে কারোর মৃত্যু ঘটলে, সেক্ষেত্রে সরকার না আদালত, কে দায়ী হবে?’