প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ATM ও সোনার দোকানে ডাকাতির পর এবার দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটল শিলিগুড়িতে তাও আবার খোদ মেয়রের ওয়ার্ডে! অভিযোগ উঠছে বাড়ির সদস্যদের ঘুম পাড়ানি স্প্রে ব্যবহার করে ঘুম পাড়িয়ে রেখে মোবাইল এবং নগদ চুরি করা হয়। গোটা ঘটনায় রীতিমত চমকে উঠেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবের ওয়ার্ডে এমন ঘটনা ঘটায় নিরাপত্তা নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ স্থানীয়দের।
ঘটনাটি কী?
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ বুধবার, মধ্যরাতে এক ভয়ংকর চুরির ঘটনা ঘটল শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবের ওয়ার্ডে। পরিবারের তরফের জানানো হয়, চোরেরা বাড়ির মেইন গেটের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়েছিল। এবং সদর দরজায় বাইরে থেকে ছিটকানি দিয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে সকল সদস্যদের নাকে চোখে নেশাজাতীয় স্প্রে ব্যবহার করে দুষ্কৃতীরা। বাড়ির সদস্যদের অচেতন করার পরেই ঘরের ভিতর থেকে নগদ ১২ হাজার টাকা এবং একটি মোবাইল চুরি করে। কিন্তু বাড়ির সদস্যদের মধ্যে একজন জেগে যায় এবং চিৎকার করতে থাকায় সঙ্গে সঙ্গে তারা ধরা পড়ার ভয়ে চম্পট দেয়।
পুলিশের প্রতি প্রকাশ স্থানীয়দের
এদিকে চুরির ঘটনার পর বাড়ির লোকজন উঠে চোরকে ধরতে যাওয়ার চেষ্টা করলে সকলেই ব্যর্থ হয়। উঠতে গিয়েই অনেকের মাথা ঘুরতে থাকে এবং অজ্ঞান হয়ে যায়। ঘরের বিভিন্ন জিনিসপত্র এলোমেলো অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে আশেপাশের প্রতিবেশীদের সহায়তায় পরিবারের সাতজনকে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এখনও চিকিৎসা চলছে তাঁদের। এদিকে এই চুরির ঘটনা নিয়ে শিলিগুড়ি পুলিশকে জানানো হলে সঠিক সময়ে ঘটনাস্থলে না আসায় অনেকেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে।
আরও পড়ুন: “রাজ্য চাইলে পরীক্ষা পিছিয়ে দিতে পারে..” SSC নিয়োগ নিয়ে এবার বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
শিলিগুড়ির এই দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় স্থানীয়দের প্রাথমিক অনুমান চুরির ঘটনাটি অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে । এবং তাঁরা আশঙ্কা করছেন এই দুষ্কৃতীরা ওই পরিবারের চেনা কেউ হতে পারে। এদিকে এই একই ঘটনা কয়েক মাস আগে শিলিগুড়ির ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের সুকান্তপল্লি এলাকায় ঘটেছিল। সেখানেও চোরেরা নাকে চোখে স্প্রে করে প্রায় চার লক্ষ টাকার সোনার অলঙ্কার ও নগদ চুরি করে পালিয়েছিল। বারংবার এই একই ঘটনা ঘটতে থাকায় দুশ্চিন্তার পাহাড় জমেছে স্থানীয় এলাকাবাসী মাথায়।