বাবরির পর যোগীরাজ্যে ফতেহপুরের সমাধির নীচে মন্দিরের দাবি, ভাঙচুর! ছড়াল উত্তেজনা

Uttar Pradesh

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ফের যোগী রাজ্যে ধুন্ধুমার কাণ্ড!ফতেহপুরের একটি ঐতিহাসিক সমাধিক্ষেত্রকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষর সীমা ছাড়ায় সাংঘাতিক। যার জেরে প্রবল উত্তেজনা ছড়িয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, নবাব আবদুস সামাদের সমাধি নাকি প্রাচীন এক মন্দিরের উপর তৈরি করা হয়েছে। আর তাই নিয়েই এই দ্বন্দ্ব। এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে ইতিমধ্যেই বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও পিএসি বাহিনী মোতায়েন করেছে প্রশাসন।

ঘটনাটি কী?

ANI এর রিপোর্ট অনুযায়ী, পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, আজ অর্থাৎ সোমবার সকালে উত্তরপ্রদেশের ফতেহপুরের সদর তহসিল এলাকার নবাব আবদুস সামাদের সমাধির বাইরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। মুহূর্তের মধ্যে সমাধিক্ষেত্রকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় ব্যাপক। একপক্ষ সমানে দাবি করে আসছে যে, ওই সমাধির তলায় নাকি হাজার বছরের পুরোনো মন্দির রয়েছে। আর তা প্রমাণ করতে ওই সংগঠনের আরও সদস্য জড়ো হয়ে সমাধিক্ষেত্রে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। এক্ষেত্রে অপর আরেক পক্ষ সেই কাজে বাধা দিতে আসে, শুরু হয় তর্কাতর্কি। এতে অশান্তি আরও ভয়ংকর আকার ধারণ করে। এরপরেই অশান্তির খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। কোনো রকমে নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি।

সংরক্ষিত স্মৃতিস্তম্ভ নিয়ে জোর বিতর্ক

ফতেহপুরের সমাধি ঘিরে বিতর্কের জল গড়ায় রাজনৈতিক ময়দানে। ওই জেলার বিজেপি সভাপতি অভিযোগ করেছিলেন যে এটি কোনও সমাধি নয়, বরং হাজার হাজার বছরের পুরনো ঠাকুরজি ও মহাদেবের মন্দির। এর ভেতরে রয়েছে পদ্মফুলের নকশা ও ত্রিশূলের উপস্থিতি। সেই কারণেই হিন্দু সংগঠনের সদস্যরা সমাধি প্রাঙ্গণে ঢুকে ভাঙচুর চালান কিন্তু সরকারি রেকর্ডে খাসরা নম্বর ৭৫৩-এর জমি ‘জাতীয় সম্পত্তি মকবরা মঙ্গি’ হিসেবে নথিভুক্ত করা রয়েছে। অর্থাৎ এটি একটি সংরক্ষিত স্মৃতিস্তম্ভ। কিন্তু সবকিছু জানা সত্ত্বেও সাম্প্রতিক ধর্মীয় দাবিকে ঘিরে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে ওঠে। যদিও পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

আরও পড়ুন: নবম থেকেই বই খুলে পরীক্ষা দিতে পারবে পড়ুয়ারা! নয়া সিদ্ধান্ত CBSE বোর্ডের

উল্লেখ্য, জাতীয় উলামা কাউন্সিলের জাতীয় সম্পাদক মহম্মদ নাসিম ফতেহপুরের সমাধি বিতর্কের এই ঘটনাকে ইতিহাস বিকৃতি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি ভাঙার চেষ্টা বলে কঠোর ভাষায় বিজেপির প্রতি প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। বিজেপি নেতার এইরূপ উস্কানিমূলক বার্তাকে নিন্দা করেছেন তিনি। এবং প্রশাসনের সমালোচনা করে তিনি বলেছেন, একপাক্ষিক বিবেচনা করে ধর্মীয় উস্কানিদাতাদের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে, যা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলছে। কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি হওয়া উচিৎ।

Leave a Comment