‘বাবা ভুল …’ মৃত্যুর আগে দিলীপকে নিয়ে যা বলেছিল প্রীতম, প্রকাশ্যে আনলেন রিঙ্কু

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: প্রায় আড়াই মাস ধরে দিলীপ ঘোষ এবং বঙ্গ বিজেপির সম্পর্কের মাঝে এক চাপানউতোর পরিস্থিতি তৈরি হয়ে আসছে। যার প্রতিফলন স্বরূপ প্রধানমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফর থেকে শুরু করে অমিত শাহের কলকাতায় কর্মসূচি কোনও কিছুতেই দেখা যায়নি দিলীপ ঘোষকে।

এমনকি কিছুদিন আগে সায়েন্স সিটিতে শমীক ভট্টাচার্য যে নতুন রাজ্য সভাপতি হলেন, সেখানেও তিনি কোনো আমন্ত্রণ পাননি। আর তার ফলে অনেকেই মনে করছেন যে দিলীপ ঘোষ এবার তৃণমূলে যোগ দেবে।

দিঘা সফরে গিয়ে বিপত্তি দিলীপের

গত কয়েকদিন ধরেই রাজ্য রাজনীতির আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন দিলীপ ঘোষ। ক্রমেই বিজেপির সঙ্গে রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষের সম্পর্কের অবনতি হয়েই চলেছে। আসলে গত ৩০ এপ্রিল দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনের দিন সস্ত্রীক দিঘা গিয়েছিলেন দিলীপ। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে খোশমেজাজে গল্প করতে দেখা যায় তাঁকে।

আর এই বিষয়টিকে একদম ভালভাবে মেনে নেননি, বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্ব। তারপর থেকেই চলে আসছে ঠান্ডা লড়াই। তবে চুপ থাকেনি দিলীপ, বিভিন্ন বিতর্কের বিরুদ্ধে স্পষ্ট জবাব দিয়েছেন।

ছেলেকে নিয়ে কী বললেন রিঙ্কু?

আর এই আবহে এবারদলের মধ্যে দিলীপ ঘোষকে নিয়ে যখন তর্ক বিতর্ক বেশ তুঙ্গে তখন সেই সময় এই বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলেন তাঁর সদ্যবিবাহিতা স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদার। তুলে ধরেন তাঁর মৃত ছেলের বক্তব্য। রিঙ্কু দেবী এদিন বলেন, “আমার ছেলে তো আজ আর নেই। আমার ছেলে কিন্তু বলে গিয়েছিল, বাবা কিন্তু কোনও ভুল করেনি। কারণ বাবা ওখানে গিয়েছিল বলেই এবার তৃণমূলের যাঁরা হিন্দু ভোটার, তাঁরা বিজেপিতে কনভার্ট হয়ে যাবে। আমার ছেলের কথাটাই কিন্তু প্রমাণ হল। সত্যিই তো উনি কিন্তু কোনও ভুল করেননি।”

আরও পড়ুন: FASTag-র বার্ষিক পাস নিলেও এক্সপ্রেসওয়েতে দিতে হবে টোল ট্যাক্স!

উল্লেখ্য দিলীপের দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে সফরে নিয়ে দলের একাধিক দাপুটে নেতার আক্রমণের মুখে পড়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। বাদ যায়নি সুকান্ত মজুমদার দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং সৌমিত্র খাঁ। তবে গত মঙ্গলবার বিজেপি দফতরে কর্মীদের উদ্দেশে নয়া রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য বলছেন, ‘ক্ষণিকের দূরত্ব তৈরি হতেই পারে, তাই বলে কাউকে দূরে সরিয়ে রাখবেন না। বিজেপি ঐক্যবদ্ধ ছিল আছে থাকবে।’ আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নাকি নতুন ঐক্যবদ্ধ বিজেপি দেখতে পাবে গোটা বাংলা।

Leave a Comment