বিরাট প্রোজেক্ট, আমূল বদলে যাবে ভারতের অর্থনীতি! এবার হাত মেলাচ্ছে আম্বানি, ট্রাম্প

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ভারতের ধনকুবের মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani) এবার প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হাতে হাত মেলালেন! ফলে এবার শুধুমাত্র ব্যবসা নয়, বরং আন্তর্জাতিক থেকে শুরু করে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মহলেও ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে! 

জানা যাচ্ছে, আম্বানির মালিকাধীন কোম্পানি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ ট্রাম্পের ব্র্যান্ডেড এক প্রকল্পের জন্য বিরাট অংকের ডেভেলপমেন্ট ফি দিয়েছে। আর তার পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে প্রায় 10 মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ 86 কোটি টাকা।

আসলে কী হল এই চুক্তিতে?

সম্প্রতি বিদেশের এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর পাওয়া গেল, 2024 সালে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সংস্থা ট্রাম্প অর্গানাইজেশন বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন প্রকল্প থেকে লাইসেন্স ফি এবং ডেভেলপমেন্ট ফি বাবদ 44.6 মিলিয়ন ডলার আয় করেছে। মূলত ভিয়েতনাম, দুবাই, সৌদি আরব সহ বেশ কিছু দেশ থেকে এই আয়ের সিংহভাগ এসেছে। আর এই মুহূর্তে ভারত থেকে পাওয়া 10 মিলিয়ন ডলারের চুক্তি আন্তর্জাতিক মহলে সাড়া ফেলে দিয়েছে।

তবে বলে দিই, মুম্বাইয়ের কোন প্রকল্পের জন্য এই ফি দেওয়া হয়েছে, তা প্রকাশ্য আসেনি। তবে অনুমান করা হচ্ছে, রিলায়েন্স এবং ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের মধ্যে একটি বিলাসবহুল আবাসন বা বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স তৈরি হতে পারে। এমনকি বর্তমানে ভারতের সবথেকে বড় রিয়েল এসেস্ট মার্কেট মুম্বাইতেই। ফলে ট্রাম্পের ব্র্যান্ড সেখানে আত্মপ্রকাশ করলে, তা ভারতীয় থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক স্তরেও বিরাট কদর পাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ শুরুতেই বেতন ৪০ হাজার! জারি হল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি

নয়া রূপ নিচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক?

খবর পাওয়া গেল, চলতি বছরে মুকেশ আম্বানি আমেরিকায় ট্রাম্পের এক অনুষ্ঠানে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন। এমনকি তিনি কাতারের এক রাষ্ট্রীয় ভোজেও অংশ নেন। আর সেখানে ট্রাম্পও উপস্থিত ছিলেন। এখান থেকেই আঁচ পাওয়া যাচ্ছে যে, ব্যবসা ও রাজনৈতিক মেলবন্ধনে ভারতের সঙ্গে মার্কিন সংস্থার বিরাট গ্লোবাল নেটওয়ার্ক তৈরি হচ্ছে, যার কেন্দ্রবিন্দুতে দাঁড়িয়ে রয়েছে ভারতের ধনকুবের আম্বানি।

বলে রাখি, ভারতের সবথেকে বড় কর্পোরেট গোষ্ঠী রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ ভবিষ্যতে ট্রাম্পের ব্র্যান্ডকে নিয়ে মুম্বাই বা দেশের অন্য কোনও শহরে বিরাট কোনও প্রকল্পে হাত দেবে কিনা, তা এখনো বলা যাচ্ছে না। আর যদি তা হয়, তাহলে নিঃসন্দেহে বিদেশী বিনিয়োগ এবং পর্যটনের ক্ষেত্রে ভারতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। এখন দেখার ভবিষ্যতে কী হয়।

Leave a Comment