বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: বিশ্ব ব্যাঙ্কিং খাতে আধিপত্য বিস্তার করবে ভারত! আর সেই পথটা তৈরি করে দেবে দেশের সবচেয়ে বড় পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্ক SBI (SBI Big Plan)। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, 100 লক্ষ কোটির মাইলফলক ছোঁয়ার পরই দেশের বৃহত্তম সরকারি ব্যাঙ্কটি তাদের এক বড় লক্ষ্যের কথা জানিয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, ‘যত দ্রুত সম্ভব বিশ্বের শীর্ষ 10 ব্যাঙ্কের তালিকায় ঢুকে পড়াই আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য।’
শীঘ্রই বিশ্বের শীর্ষ 10 ব্যাঙ্কের তালিকায় যোগ দেবে SBI!
রিপোর্ট অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই বিশ্বের শীর্ষ 10 ব্যাঙ্কের তালিকায় ঢুকে পড়েছে বেসরকারি ব্যাঙ্ক HDFC। তবে সেই দৌড়ে আপাতত কিছুটা পিছিয়ে ICICI এবং SBI। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের সবচেয়ে বড় প্রাইভেট সেক্টর ব্যাঙ্ক SBI যেভাবে তাদের সামগ্রিক মূল্যায়নের উপর জোর দিয়েছে তাতে খুব শীঘ্রই আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে শীর্ষ 10 ব্যাঙ্কের তালিকায় নাম তুলে ফেলতে পারে স্টেস্ট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। এছাড়াও বিশ্বের সেরা 10 ব্যাঙ্কের প্রথম সারিতে জায়গা করে নিতে পারে দেশের বেসরকারি ব্যাঙ্ক ICICI।
এ প্রসঙ্গে স্টেস ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান সি এস শেট্টি জানিয়েছেন, ‘বাজার মূলধনের দ্বারা দেশের বৃহত্তম ঋণদাতা অর্থাৎ SBI এর লক্ষ্য তার সামগ্রিক মূল্যায়নকে আরও উন্নত করা।’ সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় শেট্টি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল অভ্যন্তরীণ মূলধনকে 15 শতাংশ অনুপাতে এবং মূল ইকুইটি স্তরটিকে 12 শতাংশ অনুপাতে নিয়ে যাওয়া। যদিও চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে ব্যাঙ্কের মূলধন পর্যাপ্ততা অনুপাত ছিল 14.62 শতাংশ। অন্যদিকে CET 1 দাঁড়িয়েছিল 11.47 শতাংশে।
এদিন SBI এর চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আমরা বিগত কয়েক বছরে প্রচুর মুনাফা অর্জন করেছি। এর আগে আমাদের মূলধন অনেক ব্যাঙ্কের থেকে কম ছিল। তবে মুনাফা কোনও দিনই প্রবৃদ্ধির জন্য বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি।’ , শেট্টির কথায়, ‘SBI গত চার থেকে পাঁচ বছরে মুনাফা বৃদ্ধির মাধ্যমে 6-7 ট্রিলিয়ন রুপির বৃদ্ধি সহায়ক মূলধন বজায় রেখেছে।’
সংস্থাটি একেবারে খোলাখুলি জানায়, আসন্ন 2030 সালের মধ্যে বিশ্বের শীর্ষ 10 ব্যাঙ্কের তালিকায় ঢুকে পড়তে আমরা বদ্ধপরিকর। এখন দেখার দেশের সবচেয়ে বড় পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্কটি সেই লক্ষ্য পূরণ করতে পারে কিনা।
অবশ্যই পড়ুন: ফের চোট পেয়ে মাঠ ছাড়লেন ঋষভ পন্থ, দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের আগে খারাপ খবর
উল্লেখ্য, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সর্বশেষ ত্রৈমাসিক ফলাফল অনুযায়ী, 2025 সালের সেপ্টেম্বরের শেষে ব্যাঙ্কটির 20,160 কোটির নিট মুনাফার 10 শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যা মূলত খুচরো, কৃষি এবং MSME বিভাগগুলির মুনাফা এবং ইয়েস ব্যাঙ্কের শেয়ার বিক্রির লাভ থেকে এসেছে।