সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন (Bihar SIR) চলাকালীন আবারও এক চমক দেওয়া ঘটনা সামনে এল। হ্যাঁ, এবার ভাগলপুরে দুই পাকিস্তানি মহিলার নামেই তৈরি হয়ে গেল ভোটার কার্ড! কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তদন্তে এই ঘটনা সামনে আসতেই একেবারে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন।
কীভাবে ধরা পড়ল এই ঘটনা?
আসলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বিদেশি নাগরিকদের ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে গেলেও ভারতে অবৈধভাবে থাকার বিষয়ে সম্প্রতি অনুসন্ধান শুরু করেছিল। আর সেই তদন্তেই ধরা পড়ল ভাগলপুরে তিন পাকিস্তানী নাগরিকের হদিস। এর মধ্যে দুই মহিলা ইশাকচক থানা এলাকার ভিখানপুর গুমটি নং 3, ট্যাঙ্ক লেনে থাকেন বলে জানা গিয়েছে।
बिहार में चुनाव से पहले भागलपुर में दो पाकिस्तानी महिलाओं के नाम फर्जी वोटर आईडी कार्ड पाए गए
◆ केंद्रीय गृह मंत्रालय की जांच में यह खुलासा हुआ कि ये महिलाएं अवैध रूप से भारत में वीजा ओवरस्टे कर रही थीं
◆ पुलिस ने मतदाता सूची से उनके नाम हटाने की प्रक्रिया शुरू कर दी है… pic.twitter.com/JSzoiQgB5b
— News24 (@news24tvchannel) August 22, 2025
উল্লেখ্য, বিহার পুলিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দেওয়া এমন চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট হাতে পেয়ে ভাগলপুরের এসএসপিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। আর এরপরেই হাড়হিম করা তথ্য সামনে আসে। জানা গিয়েছে, ওই দুই মহিলার ভোটার আইডি কার্ডও নাকি বানানো হয়ে গিয়েছে!
কারা এই দুই পাকিস্তানি মহিলা?
তদন্তে উঠে এসেছে, ফিরদৌসিয়া খানম নামের এক মহিলার হদিস, যার স্বামী মোহাম্মদ তফজিল আহমেদ। তিনি বাংলাদেশের (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) রংপুরের বাসিন্দা, 1956 সালের 19 জানুয়ারি তিন মাসের ভিসা নিয়ে তিনি ভারতে আসেন। আরেকজন হলেন ইমরানা খানম ওরফে ইমরানা খাতুন। তার পিতা ইবাতুল হাসান, তিনি এসেছিলেন তিন বছরের ভিসা নিয়ে।
ইতিমধ্যেই প্রশাসনের হাতে ওই দুজনের এপিক নম্বর পৌঁছে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, রিপোর্টে আরও একজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। হ্যাঁ, আরেক পাকিস্তানি নাগরিক মহম্মদ আসলামের কথাও বলা হয়েছে, যিনি 2002 সালে 24 মে দুই বছরের ভিসায় ভারতে আসেন। এমনকি তিনিও ইতিমধ্যে আধার কার্ড বানিয়ে ফেলেছেন।
আরও পড়ুনঃ ভারত থেকে ৩০০ ইঞ্জিনিয়ার ফেরত চাইল চিন! iPhone-17 লঞ্চের আগে নির্দেশ Foxconn-কে
এদিকে ভাগলপুরের জেলাশাসক ডক্টর নবল কিশোর চৌধুরী জানিয়েছেন, এই পাকিস্তানি মহিলাদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। স্পেশাল ব্রাঞ্চের এসপি বিষয়টিকে নিয়ে বিশদে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে ডিএম এবং এসএসপি-এর কাছে। একই সঙ্গে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।