প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: হাতে সময় বেশ কম, কারণ বছর ঘুরলেই রাজ্যে শুরু হতে চলেছে ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন। তাই রাজ্য জুড়ে SIR বা ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়ার কর্মসূচি নিয়ে ইদানিং বেশ ব্যস্ততা চলছিল, অবশেষে গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বঙ্গে এসআইআর প্রক্রিয়ায় এনুমারেশন ফর্ম পূরণ, জমা ও আপলোডের কাজ শেষ হল। এদিন রাত ১২টা বাজার পরেই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে এই সংক্রান্ত কাজ বন্ধ করা হয়েছে। এমতাবস্থায় রাজ্যে ভোটার তালিকায় (Voter List In West Bengal) মৃত, স্থানান্তরিত এবং নিখোঁজ ভোটারের সংখ্যা নিয়ে বড় আপডেট দিল নির্বাচন কমিশন।
শেষ হল এনুমারেশন পর্বের কাজ
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের খসড়া তালিকা থেকে বাদ পড়া ভোটারের সংখ্যা ৫০ লক্ষের গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছিল আগেই। এবার বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী খসড়া তালিকা থেকে কত ভোটারের নাম বাদ পড়ছে, কতজনকে শুনানিতে ডাকা হতে পারে – এসব পরিসংখ্যানের একটা আন্দাজ দিল নির্বাচন কমিশন। এদিন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার এনুমারেশন পর্ব শেষে মোট ৫৮ লক্ষ ৮ হাজার ২০২ জনের নাম বাদ পড়তে চলেছে। তবে হয়ত খসড়া তালিকাতে এই পরিসংখ্যানে সামান্য হেরফের হতে পারে। আর এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই রাজনৈতিক মহলে তুমুল শোরগোল শুরু হয়েগিয়েছে।
‘ভুয়ো’ হিসাবে চিহ্নিত ১ লাখের বেশি
ভোটার তালিকায় নাম বাদ পড়া নিয়ে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছেন যে, এই ৫৮ লক্ষের মধ্যে মৃত ভোটারের সংখ্যা ২৪ লক্ষ ১৮ হাজার ৬৯৯জন, নিখোঁজের সংখ্যা ১২ লক্ষ ১৪৬২ জন। এ ছাড়া, এ রাজ্যে মোট ১৯ লক্ষ ৯৩ হাজার ৮৭ জন ভোটার ঠিকানা পরিবর্তন করেছেন। একাধিক জায়গার ভোটার তালিকায় তাঁদের নাম ছিল। ফলে একটি জায়গায় রেখে বাকি জায়গা থেকে নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যে মোট ১ লক্ষ ৩৭ হাজার ৫৭৫ জন ভোটারকে কমিশন ‘ভুয়ো’ হিসাবে চিহ্নিত করেছে। তাঁদের নামও খসড়া তালিকায় থাকবে না বলে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি আরও ৫৭ হাজার ৫০৯ জনকে রাখা হয়েছে ‘অন্যান্য’ তালিকায়। তাঁরাও বাদ পড়তে চলেছেন।
আরও পড়ুন: রবিবার আট ঘণ্টা বন্ধ থাকবে বিদ্যাসাগর সেতু, জানাল কলকাতা পুলিশ
এনুমারেশন পর্ব শেষ হতেই নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যে প্রজিনি ম্যাপিংয়ের হার ৫০.১৮ শতাংশ। এবং সেলফ ম্যাপিংয়ের হার ৩৮.৩৩ শতাংশ এছাড়া রাজ্যে ৩০ লক্ষ ভোটার রয়েছেন তাঁরা নন-ম্যাপিং তালিকাভুক্ত। তবে সেক্ষেত্রে পরিসংখ্যানে আন্দাজ অনুযায়ী সামান্য গরমিল হতে পারে। কিন্তু আসল ফলাফল আগামী ১৬ ডিসেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করার পরেই জানা যাবে। যদি সেই তালিকায় কোনও অভিযোগ বা ত্রুটি থাকে তাহলে কমিশনকে জানাতে হবে। তার ভিত্তিতে হবে শুনানি। এরপর তথ্যপ্রমাণ যাচাই করে দেখে ২০২৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত করবে কমিশন।