বেআইনি বেটিং অ্যাপ কাণ্ডে রায়না, ধাওয়ানের প্রায় ১২ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

1xBet Betting App Case ED Seized 11.14 Crore assets of Shikhar Dhawan and Suresh Raina

বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: বেআইনি বেটিং অ্যাপের সাথে যুক্ত থাকাই কাল হল (Betting App Case)! প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার সুরেশ রায়না এবং শিখর ধাওয়ানের 11.14 কোটি টাকার সম্পত্তি সাময়িকভাবে বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। জানা গিয়েছে, 2002 সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের অধীনে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, জব্দ হওয়ার সম্পদের মধ্যে রয়েছে সুরেশ রায়নার 6.64 কোটির মিউচুয়াল ফান্ড বিনিয়োগ এবং শিখর ধাওয়ানের 4.5 কোটি মূল্যের একটি রিয়েল এস্টেট সম্পত্তি।

এই বেটিং অ্যাপের সাথে যুক্ত ছিলেন দুই তারকা

কিছুদিন আগেই বেআইনি বেটিং অ্যাপের সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দিল্লির দপ্তরে লাইন পড়েছিল ভারতীয় তারকাদের। সেই তালিকায় নাম উঠেছিল টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন সদস্য শিখর ধাওয়ান এবং সুরেশ রায়নারও। জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ বেআইনি বেটিং অ্যাপ 1xBet এর সাথে যুক্ত থাকার পাশাপাশি এই সংস্থাটির হয়ে প্রচার করতেন এই দুই প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার।

ইডির তরফে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, 1xBet বেআইনি বেটিং অ্যাপ সংস্থাটি ভারত সরকারের কোনও রকম অনুমতি ছাড়াই অবৈধভাবে মানি গেমিং চালাত। তদন্তকারীদের দাবি, ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন দুই সদস্য সুরেশ রায়না এবং শিখর ধাওয়ান এই বেআইনি বেটিং অ্যাপ সংস্থার সাথে বিজ্ঞাপনী চুক্তিতে আবদ্ধ ছিলেন। সেই সূত্রেই দীর্ঘদিন এই বিদেশী সংস্থার হয়ে বহু প্রচার করেছেন। শুধু তাই নয়, এই ভারতীয় তারকাদের বিজ্ঞাপন দেখেই বহু মানুষ এই বেটিং অ্যাপে বিনিয়োগ করেছিল। যার জেরে সর্বস্বান্ত হয়েছেন বহু মানুষ।

অবশ্যই পড়ুন: শিখদের ফুল দিয়ে বরণ, হিন্দুদের অপমান করে তাড়িয়ে দিল পাকিস্তান! বিদ্বেষ ছড়ানোর চেষ্টা?

উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তে উঠে এসেছে, 1xBet নামক সংস্থাটি হাজার হাজার কোটি টাকার জাল লেনদেন চালিয়েছে। এছাড়াও ইডির জালে ধরা পড়েছে 6000 এরও বেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। পাশাপাশি তদন্ত দেখা গিয়েছে, এমন অনেক পেমেন্ট যেগুলি গেটওয়ে কেওয়াইসি বা যাচাইকরণ ছাড়াই সফল হয়ে গিয়েছে। ইডি বলছে, এই বেআইনি বেটিং অ্যাপের সাহায্যে 1000 কোটি টাকারও বেশি আর্থিক লেনদেন হয়েছে।

Leave a Comment