সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: যোগীরাজ্যে মর্মান্তিক ঘটনা। হ্যাঁ, উত্তরপ্রদেশের শামলি জেলায় ঘটেছে এক হৃদয়বিদারক ঘটনা। অভিযোগ উঠছে, বোরখা না পরার কারণে স্ত্রী এবং দুই নাবালিকা কন্যাকে হত্যা করে নিজের বাড়ির ভিতরে মাটি চাপা দিয়ে দিয়েছে এক ব্যক্তি (Uttar Pradesh Murder)। আর এ নিয়ে গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি কী?
এনডিটিভি-র একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম ফারুক। তাঁর স্ত্রী তাহিরা, বয়স ৩৫। এছাড়া মৃত দুই মেয়ে শারিন এবং আফরিন, যাদের বয়স যথাক্রমে ১৪ এবং ৬ বছর। তাঁরা গত এক সপ্তাহ ধরেই নিখোঁজ ছিল। ওই পরিবারের কোনও খোঁজ না পাওয়ার কারণে মঙ্গলবার গ্রামপ্রধান বিষয়টি পুলিশকে জানান। এরপর শুরু হয় তদন্ত। তবে তদন্তের সময় ফারুকের আচরণ বা গতিবিধিতে সন্দেহ ধরা পড়ায় তাঁকে হেফাজতে নিয়েছিল পুলিশ।
এদিকে পুলিশের জেরায় অভিযুক্ত ফারুক নিজের অপরাধ স্বীকার করে। সে জানায়, স্ত্রী এবং দুই মেয়েকে খুন করার পর বাড়ির মধ্যেই একটি গর্ত করে দেহগুলিকে পুঁতে দিয়েছে। তাঁর স্বীকারক্তির পর ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ বাহিনী। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার এমপি সিং। এরপর বাড়ির ভিতর গর্ত খুঁড়েই তিনটি দেহ উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে দেহগুলিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
Police say Mohammad Farukh murdered his 36-year-old wife, Tahira, and later shot dead their daughters, 14-year-old Afreen and 7-year-old Sahreen, at their home in Garhi Daulat village in Shamli.
Farukh worked as a labourer. The couple had five children and faced constant… pic.twitter.com/RwD3QGnIEe
— Spot On (@Spotnews_media) December 18, 2025
কী কারণে খুন করা হয়েছিল?
প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে স্ত্রী তাহিরা স্বামীর কাছে টাকা চেয়েছিলেন। এই নিয়ে দু’জনের মধ্যে তুমুল ঝামেলা হয়। এরপর রাগের মাথায় তাহিরা বোরখা না পরে বাবার বাড়িতে চলে যান। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় অভিযুক্তের মনে হয় যে তাঁর সম্মান নষ্ট হয়েছে। এরপর এক মাস কেটে গেলে ফারুক তাঁর স্ত্রীকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনে। এরপর স্ত্রী এবং দুই মেয়েকে খুন করে।
আরও পড়ুন: কর্কট রাশিফল ২০২৬: কেমন কাটবে নতুন বছর
সূত্রের খবর, অভিযুক্তের কাছ থেকে একটি পিস্তল এবং বেশ কিছু গুলি উদ্ধার করা হয়েছে, যেগুলি খুনের জন্যই ব্যবহার করা হয়েছে বলেই প্রাথমিক অনুমান। বর্তমানে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে আর অভিযুক্তকে পুলিশি হেফাজতেই রাখা হয়েছে। তবে খুনের পিছনে পারিবারিক বা মানসিক কোনও কারণ রয়েছে কিনা সে বিষয়ে তলব করা হচ্ছে। আজ তাঁকে আদালতে তোলার কথা।