বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: শুক্রবারের ডার্বিতে জিততেই হতো মোহনবাগানকে। তবে চির প্রতিদ্বন্দ্বি ইস্টবেঙ্গলের বিপক্ষে একেবারেই দাগ কাটতে পারেনি সবুজ মেরুন। এদিন মাত্র এক স্ট্রাইকার নিয়ে খেলা শুরু করে লাল হলুদ প্রতিপক্ষ। তাতে লাভের বদলে, লোকসানই হয়েছে তাদের। এদিকে, ডার্বি ড্র করলেই সেমিফাইনালে উঠে যেত ইস্টবেঙ্গল। গতকাল ম্যাচ শেষে তেমনটাই হল। মোহনবাগানকে আটকে দিয়ে সুপার কাপের সেমিফাইনালে জায়গা করে নিল মশাল সেনা। এদিকে গোলশূন্য ম্যাচে নিজেদের অসফলতার দায় ম্যানেজমেন্টের ঘাড়ে চাপালেন বাগান কোচ হোসে মোলিনা (Mohun Bagan Head Coach)।
সব দোষ ম্যানেজমেন্টের! বিস্ফোরক মোলিনা
শুক্রবার, ম্যাচের নিরিখে ইস্টবেঙ্গলের কাছে হারেনি মোহনবাগান। তবে রক্ষণে এবং আক্রমণে সবুজ মেরুনকে পরাস্ত করেছে মশাল ব্রিগেড। তাছাড়াও গোল পার্থক্যকে নিরিখে সুপার কাপের আশা শেষ হয়েছে শুভাশিস বসুদের। ম্যাচ শেষে একরাশ হতাশা নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে বসেন মোলিনা। সেখানেই বাগানের প্রধান কোচকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘আমি কিন্তু প্লেয়ারদের সই করাইনি। ওই কাজটা ম্যানেজমেন্টের। আমি শুধুমাত্র মতামত দিয়েছি। সিদ্ধান্তটা ছিল সম্পূর্ণ ওদের। আমি শুধু চেয়েছিলাম বছরের শুরুতে একজন বিদেশী সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার আসুক। যাকে দিয়ে খেলাটা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। কিন্তু ম্যানেজমেন্টের থেকে আমি সেটা পাইনি।’
এদিন একেবারে কথায় কথায়, সুপার কাপের ডার্বিতে ব্যর্থতার দায় মোহনবাগান ম্যানেজমেন্টের উপর চাপিয়ে দিয়েছেন মোলিনা। যদিও ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের দাবি, গতকাল ইস্টবেঙ্গলের বিপক্ষে মোহনবাগানের আক্রমণের তেঁজ সে অর্থ চোখে পড়েনি। তাছাড়াও মাঠে অনেক ক্ষেত্রে ছন্নছাড়া ফুটবল খেলেছে বাগানের ছেলেরা। শুধুমাত্র জেমি ম্যাকলারেনকে আক্রমণের দায়িত্ব দিয়ে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করার বদলে ম্যানেজমেন্টের উপর চাপানোয়, মোলিনার উপর ক্ষিপ্ত অনেকেই।
অবশ্যই পড়ুন: দাম কমল LPG -র, জানুন নতুন রেট
উল্লেখ্য, সম্প্রতি IFA শিল্ডের ডার্বিতে নির্ধারিত সময়ের ম্যাচে একেবারে মস্তানি করে খেলেছিস ইস্টবেঙ্গল। অন্যদিকে একই বিদেশি নিয়ে লাল হলুদের পায়ে বেরি পরানো মতো দূর, তাদের বিরুদ্ধে আক্রমণে যাওয়াই দুঃসাধ্য হয়ে গিয়েছিল বাগানের পক্ষে। শুক্রবারের ম্যাচেও একই দৃশ্য দেখল দর্শক। সেই দায় মোলিনা নেবেন না কেন? প্রশ্ন তুলছেন সমর্থকরা। আসলে, ইস্টবেঙ্গলের বিপক্ষে গতকালের ব্যর্থতায় মোহনবাগান কোচের ভুল স্ট্র্যাটেজিকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন ফুটবল ভক্তরা।