প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: হুগলির ব্যান্ডেলে (Bandel) তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের কার্যালয়ে গাঁজার আসর! নজরে পড়তেই কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার নিদান দিলেন বিধায়ক অসিত মজুমদার। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন, তাই উঠেপড়ে লেগেছে শাসকদল। কিন্তু দলের কিছু কর্মীদের কর্মকাণ্ডের কারণে বিরোধীদের সামনে বারবার অপদস্ত হতে হচ্ছে তৃণমূলকে। এমতাবস্থায় ব্যান্ডেলের তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের কার্যালয় নিয়ে বড় পদক্ষেপ নিলেন চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার।
ঘটনাটি কী?
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ সোমবার ব্যান্ডেলের এক দলীয় কর্মসূচি সেড়ে বাড়ি ফিরছিলেন চুঁচুড়া তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। কিন্তু ব্যান্ডেল মোড়ে এসে হঠাৎ দেখতে পান তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের কার্যালয়ের সামনে বিরাট গাঁজার ঠেক বসেছে। কার্যালয়ের পাশে রয়েছে শিব মন্দির সেখানেও এক বড় গাঁজার আসর বসেছে। যা দেখে বেশ ক্ষুব্ধ হন বিধায়ক অসিতবাবু। সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি থেকে নেমে বিধায়ক সামনে যেতেই কয়েকজন যুবক ঘটনাস্থল থেকে ছুটে পালায়। তৎক্ষণাৎ ব্যান্ডেল ফাঁড়ির পুলিশকে ফোন করেন অসিতবাবু। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয় স্থানীয় পুলিশ। উপস্থিত হন স্থানীয় ব্যান্ডেল পঞ্চায়েতের প্রধান, উপ প্রধান সহ তৃণমূল কর্মীরা।
তালা ঝোলানোর নির্দেশ
জানা গিয়েছে, ব্যান্ডেলের এই তৃণমূল কার্যালয়ের সামনেই রয়েছে একটি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও একটি বেসরকারি স্কুল। এদিকে সেই শিক্ষাকেন্দ্রের সামনে দিনের পর দিন এই গাঁজার ঠেক বসার অভিযোগ উঠে আসছিল বিগত কয়েকদিন ধরে, আর সেই ঘটনা এবার প্রত্যক্ষভাবে দর্শন করলেন বিধায়ক অসিত মজুমদার। তিনিই তৃণমূলের পরিবহণ শ্রমিক সংগঠনের এই কার্যালয় উদ্ধোধন করেছিলেন। তাই এবার তিনিই এই কাণ্ডের পর কার্যালয়ে তালা ঝোলানোর নির্দেশ দিলেন। ক্ষোভ উগরে দিয়ে বিধায়ক জানান, যাঁরা এই কাজ করেছেন তাঁরা তৃণমূলের সমর্থক হতে পারেন না। তাঁদের সমাজবিরোধী আখ্যা দেন তিনি।
আরও পড়ুন: ভিন রাজ্য নয়, বাংলা বলায় এবার শিলিগুড়িতে চাকরি থেকে ছাঁটাই!
কটাক্ষ বিজেপির
ব্যান্ডেল পঞ্চায়েতে উপপ্রধান প্রদীপ কুমার রায় ব্যান্ডেলে গাঁজার আসর ঘটনার জেরে জানান, “বিধায়ক বলেছেন কার্যালয় বন্ধ করে দিতে। কাল সকালে আমরা দলীয় ছেলেদের নিয়ে এসে তালা দিয়ে দেব। কে বা কারা এই কাজ করেছেন তা তাঁদের কাছে স্পষ্ট নয়। তবে ড্রাইভার খালাসিরা বসে গাঁজা খায় এখানে। এ নিয়ে এর আগে আমাদের কাছে এরকম কোনও খবর ছিল না। ” এদিকে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। হুগলি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ জানান, তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে এই ধরনের ঘটনা প্রায় প্রতিটি জায়গাতেই ঘটে। সেক্ষেত্রে প্রতিটি দলীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিতে হবে।”