বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: চিনকে শাস্তি দিচ্ছে প্রকৃতি? সর্বগ্রাসী মনোভাবাপন্ন ড্রাগনের হিসেব মেটাচ্ছেন ত্রীনাথ? বন্যা বিধ্বস্ত বেজিংয়ের চিত্র তেমন কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে! প্রবল বন্যার জেরে ঘর ছাড়া চিনের 80 হাজারেরও বেশি মানুষ। শুধু তাই নয়, প্রবল বৃষ্টিতে চিনের 130টিরও বেশি গ্রাম বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। মৃত্যু হয়েছে অন্তত 38 জনের। ড্রাগনের রাজধানীর বুকে নেমে এসেছে চরম বিপর্যয়!
ক্ষতিগ্রস্তদের নিরাপদে নিয়ে যাওয়া হয়েছে
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, দীর্ঘ কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে চিনের একাধিক এলাকা। বিশেষত রাজধানী বেজিংয়ের এলাকাগুলিতে জল ঢুকে পড়ায় ঘরছাড়া হয়েছে অন্তত 80 হাজারেরও বেশি মানুষ।
জানা যাচ্ছে, ক্ষতিগ্রস্থদের প্রত্যেককেই নিরাপদে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রবল বৃষ্টির জেরে সবচেয়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বেজিংয়ের মিয়ুন এবং ইয়াংকিং জেলায়। ইতিমধ্যেই বন্যায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলিতে জরুরি অবস্থা জারি করেছে চিন সরকার।
ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ
চিনা সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, কয়েক দিনের একটানা বৃষ্টিতে বন্যার জেরে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একাধিক বাড়ি, দোকান এবং সরকারি কার্যালয়। প্রবল বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন হয়ে পড়ে রাজধানীর অন্তত 31টি রাস্তা। যদিও রিপোর্ট অনুযায়ী, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বুঝে কিছু রাস্তায় মেরামতির কাজ হলেও প্রবল বৃষ্টির জেরে এখনও 16টি রাস্তার মেরামতির কাজ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন অনেকেই।
অবশ্যই পড়ুন: ভারত বনাম পাকিস্তান WCL সেমিফাইনাল থেকে সরল স্পনসর, আদৌ গড়াবে ম্যাচ?
সব রকম পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন
চিনা আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, গত বুধবার থেকে সোমবার মধ্যরাত পর্যন্ত বেজিংয়ে 165.9 মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে জানা যায় রাজধানীর মিয়ুন জেলার মূলত দুটি এলাকায় 500 মিলিমিটারেরও বেশি বর্ষণ হয়েছে। যার জেরে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে একাধিক অঞ্চল।
যদিও চিনের সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সব রকম পদক্ষেপ নিয়েছে শি জিনপিং প্রশাসন। ইতিমধ্যেই ময়দানে নেমেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। প্রতি মুহূর্তে তাদের সাথে যোগাযোগ রাখছে সরকার। তাছাড়াও জলমগ্ন সড়ক থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ পরিষেবা সহ অন্যান্য একাধিক সমস্যার সমাধান করতে ইতিমধ্যেই 550 মিলিয়ন ইউয়ান তহবিল ঘোষণা করেছে শি সরকার।