বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: সন্ত্রাসবাদের আশ্রয়দাতা হিসেবে পরিচিত পাকিস্তানকে আর্থিক সাহায্য করা নিয়ে ঘোর আপত্তি ছিল ভারতের। তবে সেই আপত্তি সত্ত্বেও ইসলামাবাদকে নয়া কিস্তিতে 1.2 বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় 10 হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার বা IMF (IMF Loan To Pakistan)। তাতে বিশেষজ্ঞ মহলের আশঙ্কা, ফের ফিরে আসতে পারে পুরনো স্মৃতি। আগের মতোই এই বিপুল অর্থ দিয়ে সন্ত্রাসবাদকে সাহায্য করতে পারে শেহবাজ শরীফের সরকার। তবে এই বিপুল অর্থ সাহায্য দেওয়ার পেছনে অন্য কথা বলেছে IMF।
কেন পাকিস্তানকে এত অর্থ দিচ্ছে IMF?
সোমবার একটি বিবৃতি জারি করে আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের তরফে একেবারে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, নতুন কিস্তিতে পাকিস্তানকে 1.2 বিলিয়ন ডলার দেওয়া হচ্ছে। শর্ত অনুযায়ী এই অর্থ মূলত দুটি ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারবে পাকিস্তান। প্রথমত নিজেদের দেশের অর্থনৈতিক সংশোধন এবং দ্বিতীয়ত জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব রুখতে এই টাকা ব্যবহার করতে হবে। IMF সাফ জানিয়েছে, পাকিস্তানের বিদেশি মুদ্রার ভান্ডারকে শক্তিশালী করতে এবং মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতেই এই অর্থের যোগান দেওয়া হচ্ছে।
বলাই বাহুল্য, নির্ধারিত চুক্তি অনুযায়ী এই নিয়ে মোট তৃতীয় বারের মতো অর্থাৎ পাকিস্তানকে তৃতীয় কিস্তির আর্থিক সাহায্য দিচ্ছে IMF। হিসেব করে দেখলে, এখনও পর্যন্ত ইসলামের দেশকে 3.3 বিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়ে গিয়েছে আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডারের। এ প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের শীর্ষ আধিকারিক নাইজেল ক্লার্ক খুব পরিষ্কারভাবে জানিয়েছেন, “সম্প্রতি পাকিস্থানে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ সত্ত্বেও দেশটি তাদের অর্থনৈতিক সংস্কারের ধারা এবং অর্থনৈতিক সাফল্যকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। মূলত সেই কারণেই শর্তের ভিত্তিতে এই তৃতীয় কিস্তির টাকা দেওয়া হচ্ছে।”
অবশ্যই পড়ুন: ছাত্রের মাকে নিয়ে পালিয়ে গেল স্কুল শিক্ষক! বাঁকুড়ার সিমলাপালে হৈচৈ
প্রসঙ্গত, অপারেশন সিঁদুরের আগে এবং পরবর্তী সময়ে আর্থিক দিক থেকে একেবারে ভেঙে পড়েছে পাকিস্তান। ইসলামাবাদের বেঁচে থাকার রসদ বলতে ভরসা আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারে ঋণ এবং কিছু অভ্যন্তরীণ ঋণ। যদিও ভারতের তরফে বারবার দাবি জানানো হয়েছে, পাকিস্তানকে সামনে রেখে সমস্ত ধরনের আর্থিক সাহায্য লুফে নিচ্ছে সন্ত্রাসবাদি গোষ্ঠীগুলি! ভারতের পাশাপাশি বেশ কিছু দেশও এমন বক্তব্যে সামিল হলেও তাতে পিছিয়ে আসেনি আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার। তবে অনেকেই বলছেন, এমনিতেই শেহবাজ সরকারের কাঁধে যা ঋণের বোঝা তার উপর আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের ঋণ চাপানো মানে একেবারে দেউলিয়া হওয়ার পথে পাকিস্তান!