বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: মহম্মদ ইউনূসের হাত ধরে এক সুতোয় বাঁধা করেছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান। বিগত দিনগুলিতে ভারতের উদ্বেগ বাড়িয়ে ক্রমশ কাছাকাছি ঘেঁষেছে এশিয়ার এই দুই প্রতিবেশী। এবার সেই সম্পর্ককে আগলে রেখেই বাংলাদেশের চট্টগ্রামে নোঙর করল পাকিস্তানের যুদ্ধজাহাজ (Pakistani Naval Ship In Bangladesh)। Deccan Chronicle এর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাক ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম যুদ্ধজাহাজ পিএনএস সইফ হাজির হয়েছে চট্টগ্রামে। সঙ্গে এসেছেন পাক নৌবাহিনীর আধিকারিকরা। তাঁরাই নাকি এবার বাংলাদেশের নৌঘাঁটি ঘুরে দেখছেন।
তিনদিনের সফরে বাংলাদেশে পাক নৌসেনার প্রধান
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের চট্টগ্রামে উপস্থিত হওয়া পাকিস্তানি যুদ্ধজাহাজে করে অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ সফরে এসেছেন পাক নৌসেনার প্রধান অ্যাডমিরাল নাভিদ আশরাফ। জানা গিয়েছে, রবিবার থেকে ঠিক তিনদিন বাংলাদেশে থাকবেন তিনি। এরপরই ফের পাকিস্তানে ফিরে যাবে, ওই যুদ্ধজাহাজটি। ফিরবেন পাক নৌসেনার প্রধান সহ অন্যান্য আধিকারিকরাও।
একাধিক সূত্রের খবর, রবিবার ঢাকায় পৌঁছে বাংলাদেশের নৌসেনার প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসানের সাথে বৈঠক সারেন পাকিস্তানের নৌসেনা প্রধান। সেখানেই নাকি পাক নৌসেনার প্রধানকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়েছিল বাংলাদেশ নৌবাহিনীর তরফে। কিন্তু ঠিক কোন কারণে হঠাৎ বাংলাদেশ সফরে এলেন পাকিস্তানের নৌ সেনার প্রধান?
অবশ্যই পড়ুন: আশঙ্কাই সত্যি, বাংলাদেশকে ব্যবহার করে ভারতে বিরাট হামলা চালাতে পারে হাফিজ সইদ!
কেন বাংলাদেশ সফরে পাক নৌসেনার প্রধান?
আচমকা ভারতের উদ্বেগ বাড়িয়ে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে পাকিস্তানের যুদ্ধজাহাজের আগমন, সেই সাথে বাংলাদেশের নৌ সেনাবাহিনীর প্রধানের সঙ্গে পাক নৌবাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ একসাথে অনেকগুলো প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। অনেকেই বলছেন তাহলে কি বাংলাদেশকে সাথে নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে নতুন ফন্দি আঁটছে পাকিস্তান? বাংলাদেশের অন্তরবাহিনী জনসংযোগ দপ্তর অবশ্য এই বৈঠককে একটি সৌজন্য সাক্ষাৎকার হিসেবেই বর্ণনা করেছে। তবে কূটনৈতিক মহলের দাবি, সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে হঠাৎ পাকিস্তানি সেনাপ্রধানের বাংলাদেশ সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
বেশ কয়েকটি বিশ্বস্ত সূত্রের দাবি, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান দুই পক্ষের নৌবাহিনীর প্রধানের মধ্যে নৌসেনার পেশাগত এবং প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তাছাড়াও দুই বাহিনীর মধ্যে পারস্পারিক সহযোগিতা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়েও নাকি আলোচনা চলে ঢাকায়। সূত্রের খবর যদি সত্যি হয় সেক্ষেত্রে পাকিস্তানের নৌ বাহিনীর প্রধান রবিবার বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের সাথেও বৈঠকে বসেছিলেন। আপাতত যা খবর আগামী 12 নভেম্বর চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে পাক নৌ বাহিনীর যুদ্ধজাহাজটি। তার আগে ওপার বাংলায় কড়া নজর রয়েছে নয়া দিল্লির।