বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: দিল্লির লালকেল্লার সামনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের আশঙ্কা। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই হৃদকম্পন বেড়েছে ইসলামাবাদেরও! এরই মাঝে শোনা যাচ্ছে, অপারেশন সিঁদুর 2.0 এর গুঞ্জন আবহেই পাকিস্তানকে বিপুল অঙ্কের ঋণ দিতে পারে আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার বা IMF (IMF Loan To Pakistan)। হিন্দুস্থান টাইমসের এক প্রতিবেদন বলছে, ইসলামাবাদকে 120 কোটি ডলারের ঋণ দেওয়া নিয়ে আসন্ন ডিসেম্বরেই একটি বৈঠকে বসতে পারে IMF এর এক্সিকিউটিভ কমিটি।
ফের পাকিস্তানকে ঋণ দেবে IMF?
শেষবারের মতো, অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন পাকিস্তানকে 7 বিলিয়ন ডলারের ঋণে অনুমোদন দিয়েছে IMF। সেই মতোই পুরো টাকাটাই পাওয়ার কথা ছিল ইসলামবাদের। একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে সেই কথামতোই পাকিস্তানকে প্রথম দফার টাকা দেওয়া হবে কিনা তা নিয়ে বৈঠকে বসবে IMF। তবে এই অর্থ ছাড়াও রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড স্যাসটেনেবিলিটি ফান্ড প্রকল্পের আওতায় পাকিস্তানকে 1.2 বিলিয়ন ডলার ঋণ হিসেবে দেওয়ার পরিকল্পনা দেওয়ার কথা রয়েছে IMF এর। এর মাঝেই এবার 200 মিলিয়ন ডলারের কিস্তি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আগামী ডিসেম্বরের 8 তারিখ ডাকা হতে পারে বৈঠক।
না বললেই নয়, সন্ত্রাসবাদের মদতদাতা পাকিস্তানকে অর্থ সাহায্য করার সময় IMF এর কাছে বেশ কিছু অভিযোগ জানিয়েছিল ভারত। নয়া দিল্লির তরফে বলা হয়েছিল, ইসলামাবাদ আসলে অর্থ সাহায্য পেলে তা দিয়ে সন্ত্রাসবাদকে বেড়ে উঠতে সাহায্য করবে! কিন্তু সেসব সত্ত্বেও ইসলামের দেশটিকে 100 কোটি ডলার অর্থ সাহায্য করেছিল আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডার।
অবশ্যই পড়ুন: কারা ইন্টারভিউয়ের জন্য যোগ্য? এই দিন তালিকা প্রকাশ করবে SSC!
কোন কারণে ডাকা হচ্ছে ডিসেম্বরের বৈঠক?
পাকিস্তানকে অর্থ সাহায্য করার সময় ভারত সহ বেশ কয়েকটি দেশের তরফে বিরোধীতা জানানো হলেও IMF জানিয়েছিল, “ঋণ পাওয়ার জন্য সমস্ত শর্ত এবং লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেছে পাকিস্তান। তাই তাদের ঋণ দেওয়া হবে।” তবে আর্থিক সাহায্য করা হলেও ইসলামের দেশটিকে গুণে গুণে 11টি শর্ত দিয়েছিল IMF। যার মধ্যে ছিল বিদ্যুতের সারচার্জ বাড়ানো, আমদানিতে বিধি নিষেধ প্রত্যাহার, সময় মতো ঋণ পরিশোধের মতো বিষয়গুলি। বিশ্লেষক মহলের দাবি, পাকিস্তানকে পরবর্তীতে আর্থিক সাহায্য করার আগে আগামী 8 নভেম্বরের বৈঠক ডেকে IMF দেখতে চায় ইসলামাবাদ নিয়ম মেনে সমস্ত শর্ত পূরণ করছে কিনা। সেক্ষেত্রে সবদিক ঠিক থাকলে তবেই 7 বিলিয়ন ডলারের প্রথম দফার টাকা সহ অতিরিক্ত 120 কোটি ডলার পৌঁছতে পারে পাকিস্তানের হাতে।