সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: আন্তর্জাতিক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সার্ভিস (Satellite Internet) প্রদানকারী সংস্থা ইলন মাস্কের স্টারলিঙ্ক গোটা বিশ্বজুড়ে সম্প্রসারণের কাজ চালাচ্ছে। ডিসেম্বর মাসের একটি হিসাব অনুযায়ী, স্টারলিঙ্কের গ্রাহক সংখ্যা 155টি দেশে 9 মিলিয়নের বেশি পৌঁছে গিয়েছে। আর গত ৪৭ দিনে প্রতিদিন গড়ে 21,275 নতুন গ্রাহক স্টারলিঙ্কে যুক্ত হয়েছে, যা এর আগে সর্বোচ্চ দৈনিক রেকর্ড 14,250 জনকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। তবে ভারতীয় বাজারে প্রবেশের পরিকল্পনা থাকলেও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার শর্ত পূরণ হওয়ার কারণে এখনও পর্যন্ত ভারতে রোলআউট হতে কিছুটা বিলম্বিত হচ্ছে।
নিরাপত্তার শর্ত মানাই চ্যালেঞ্জ
সম্প্রতি টেলিকম মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, স্যাটকম সার্ভিস ভারতে চালু হবে শুধুমাত্র তখনই, যখন বড় বড় কোম্পানিগুলি যেমন স্টারলিঙ্ক, ইউটেলস্যাট ওয়ানওয়েব, এবং জিও এসজিএস জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার শর্তগুলি পূরণ করবে। তিনি আরও বলেছেন, ডিপার্টমেন্ট অফ টেলিকম স্পেকট্রামের দাম চূড়ান্ত করলেই সরকার শীঘ্রই কোম্পানিগুলোর জন্য স্পেকট্রামের বরাদ্দ করতে পারবে। পাশাপাশি লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে আন্তর্জাতিক গেটওয়ে সম্পর্কিত নিরাপত্তার অনুমোদন এবং দেশের মধ্যে ডেটা থাকার নিশ্চয়তার শর্ত পূরণ করতে হবে।
আরও পড়ুন: হাওড়া, শালিমারের চাপ কমাতে বিরাট উদ্যোগ রেলের, সাঁকরাইলে তৈরি হবে নয়া কোচ ডিপো
বলে রাখি, বর্তমানে DoT এবং টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া স্পেকট্রামের দাম নির্ধারণের কাজ চালাচ্ছে। কিন্তু এক্ষেত্রে কিছু সমস্যা তৈরি হচ্ছে। যেমন- TRAI সম্প্রতি DoT-র কয়েকটি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল 5% বার্ষিক স্পেকট্রাম ফি এবং শহরের প্রতি সংযোগে 500 টাকা করে ফি। মন্ত্রী আশা করছেন যে, এটি খুব শীঘ্রই সমাধান হবে। DoT-র চূড়ান্ত পরিকল্পনা ডিজিটাল কমিউনিকেশন কমিশনের কাছে উপস্থাপন করা হবে। আর চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য হয়তো কেবিনেটের অনুমোদনেরও প্রয়োজন পড়তে পারে।
আরও পড়ুন: কোরআন নিয়ে মন্তব্য! ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগ তুলে বিজেপি বিধায়ককে কাটার হুমকি
এদিকে কিছু বিশ্লেষক বাজারের সঙ্গতির কারণে ভারতের টেলিকম বাজারে সম্ভাব্য দ্বিপক্ষীয় প্রতিযোগিতার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। কিন্তু মন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, ভারতে এখনও চারটি শক্তিশালী টেলিকম সংস্থা রয়েছে। আর সেগুলি হল রিলায়েন্স Jio, ভারতী এয়ারটেল, ভোডাফোন আইডিয়া এবং BSNL। আর এই চার সংস্থা মিলিয়ে মোটামুটি 410 মিলিয়নের বেশি গ্রাহককে পরিষেবা দিচ্ছে। তাই শর্ত পূরণ না করতে পারলে এত তাড়াতাড়ি স্যাটেলাইট ভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হবে না।