সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: গত কয়েক মাস যাবৎ সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসকারী ভারতীয়দের মধ্যে একটাই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল যে, নতুন ই-পাসপোর্ট (UAE e-Passport) আসছে, তাহলে কি ফি আবারও বাড়বে? ফের কি নতুন বায়োমেট্রিক দিতে হবে? তবে দীর্ঘ জল্পনার ইতি টেনে ভারতীয় কনসুলেট স্পষ্ট জানিয়ে দিল, ই-পাসপোর্ট চালু হলেও আবেদনকারীদের জন্য সেরকম কোনও পরিবর্তন আসবে না।
ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি দুবাইয়ের এক প্রেস কনফারেন্সে কনসুলেট কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে যে, নতুন ই-পাসপোর্ট আসলেও কোনওরকম ফি বাড়বে না। পাশাপাশি নতুন করে বায়োমেট্রিকও জমা দিতে হবে না। আর পুরনো আবেদন প্রক্রিয়া একই রকম থাকবে। এই খবর সামনে আসতেই স্বস্তির হওয়া বইছে দুবাইতে বসবাসকারী ভারতীয় কমিউনিটির মধ্যে।
কী এই ই-পাসপোর্ট?
জানিয়ে রাখি, নতুন ই-পাসপোর্ট দেখতে সাধারণ পাসপোর্টের মতোই। কিন্তু এর ভিতরে একটি ইলেকট্রনিক মাইক্রোচিপ দেওয়া থাকবে। এই চিপের মধ্যেই পাসপোর্টধারীর নাম থেকে শুরু করে যাবতীয় ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। সবথেকে বড় ব্যাপার, সমস্ত তথ্যই এনক্রিপটেড ফরম্যাটে থাকবে। ফলত, তথ্য জালিয়াতি হওয়ার কোনওরকম সুযোগ নেই। এমনকি এই ডিজাইন আন্তর্জাতিক আইসিএও স্ট্যান্ডার্ড মেনে নিয়েছে। এর ফলে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে খুব দ্রুত ভেরিফিকেশন হবে আর ঝামেলা ও জালিয়াতি থেকেও মুক্তি পাওয়া যাবে।
তবে বলে রাখি, নতুন ই-পাসপোর্টের জন্য আঙ্গুলের ছাপ বা আইরিশ স্ক্যান করতে হবে না। আর বর্তমান পাসপোর্টের যেই চার্জ রয়েছে, ঠিক সেই চার্জেই আপনি ই-পাসপোর্ট পেতে পারেন। এমনকি পাসপোর্ট সেবা পোর্টাল বা বিএলএস ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে আগের মতো ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আর চিপভিত্তিক সিস্টেমে সীমান্তের চেকপোষ্টে ভেরিফিকেশন আরও দ্রুত হবে ও নিরাপত্তা বাড়বে।
আরও পড়ুনঃ ২০২৬ এর শুরুতেই বিরল যোগ সৃষ্টি করছে শুক্র ও শনি! রাতারাতি ভাগ্য বদলাবে ৪ রাশির
আরব আমিরাতে বসবাসকারী ভারতীয়দের জন্য বড় ঘোষণা
আসলে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সোশ্যাল মিডিয়াতে বিভিন্ন রকম গুজব ছড়াচ্ছিল যে, নতুন ই-পাসপোর্ট তৈরি হলে নাকি ফি আরও বাড়বে এবং নতুন করে বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশনের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। এমনকি গোটা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ বদলে যাবে। অনেকে এই ভুল তথ্যের কারণে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছিলেন। তবে অবশেষে ভারতীয় দূতাবাস, আবুধাবি এবং দুবাই কনসুলেট স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, ই-পাসপোর্ট চালু হলেও কোনওরকম আবেদন স্থগিত হবে না, আগের মতোই আবেদন করা যাবে, আর অতিরিক্ত ফি দিতে হবে না। এই ঘোষণা সামনে আসতেই প্রবাসী ভারতীয়রা হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে।