সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ উত্তরবঙ্গ ভ্রমণের নাম নিলেই সবার আগে মাথায় আসে দার্জিলিং, কালিম্পং কিংবা সিকিমের কথা। অবশ্য সিকিম আলাদা রাজ্যে পড়ে যাচ্ছে। যাইহোক, বছরের প্রায় প্রতিটি সময়েই পর্যটকদের ভিড়ে ঠাসা থাকে এই পাহাড়ি জায়গাগুলিতে। তবে এবার এই উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলায় এমন এক নতুন আকর্ষণ খুলেছে যার দরুণ স্থানীয় মানুষ থেকে শুরু করে পর্যটকরা সেখানে ভিড় জমাচ্ছেন। আসলে এবার এই আলিপুরদুয়ারে খুলল ভারতের দ্বিতীয় গ্লাস টাওয়ার। শুনে চমকে গেলেন তো? কিন্তু এটাই সত্যি।
ভারতের দ্বিতীয় গ্লাস টাওয়ার আলিপুরদুয়ারে
এক কথায় গোটা ভারতের মধ্যে নতুন করে রেকর্ড গড়ল বাংলার আলিপুরদুয়ার জেলা। এই গ্লাস টাওয়ারটি দেখতে যেমন সুন্দর ঠিক তেমনই এতে উঠলে আপনার মনে হবে কোনও বিদেশী জায়গায় চলে এসেছেন। চিন, ভিয়েতনামে এরকম বেশ কিছু গ্লাস টাওয়ার রয়েছে যেগুলির ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক গতিতে ভাইরাল হয়। তবে এবার বাংলার বুকে বসল ভারতের দ্বিতীয় গ্লাস টাওয়ার। বলে দিই, গুজরাটের আমেদাবাদে রয়েছে ভারতের প্রথম গ্লাস টাওয়ারটি।
ইতিমধ্যে আলিপুরদুয়ারের এই নতুন আকর্ষণ গ্লাস টাওয়ারে বেশ কিছু মানুষ ঘুরেছেন। সকলের অভিজ্ঞতা এক আলাদাই রকমের। মা প্যারাডাইসে চালু হয়েছে গ্লাস টাওয়ারটি। এটির উচ্চতা ৯৫ ফুট। ডুয়ার্সের পর্যটন ব্যবসায় এই গ্লাস টাওয়ার যে এক অনন্য নিদর্শন তা বলাই বাহুল্য। এই গ্লাস টাওয়ারটি থেকে আপনি সমগ্র ডুয়ার্সের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। যেদিকে দুচোখ যাবে সেদিকেই আপনি পাহাড়, বনভূমি, চা বাগান দেখার সুযোগ পাবেন। এই গ্লাস টাওয়ারে রয়েছে দোলনা থেকে শুরু করে সেলফি জোন, দূরবীনের ব্যবস্থা।
গ্লাস টাওয়ারে উঠতে কত খরচ?
নিশ্চয়ই ভাবছেন এই গ্লাস টাওয়ারে উঠতে আপনার কত টাকা খরচ হবে? তাহলে জানিয়ে রাখি, এতে উঠতে আপনাকে খরচ করতে হবে মাথাপিছু মাত্র ২০০ টাকা। গত ৩ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ গতকালই এই গ্লাস টাওয়ারের উদ্বোধন হয়েছে। আর প্রথমদিনই দর্শনার্থীদের ভিড় চোখে পড়ার মতো ছিল। এই মা প্যারাডাইসে আগে থেকেই ওয়াটার পার্ক, স্নো পার্কের মতো আকর্ষণীয় কিছু জায়গা আছে। তবে তার সঙ্গে এবার যুক্ত হল এই গ্লাস টাওয়ারটি।
আরও পড়ুনঃ ছিটকে গেল রাণী ভবানী, বেঙ্গল টপারের শিরোপা পেল এই মেগা, এক নজরে TRP তালিকা
একজন দর্শনার্থী জানান, ‘দারুণ লাগছে এই গ্লাস টাওয়ারে উঠে। আমি আগে আলিপুরদুয়ার কেন, কোথাও দেখিনি এমন। চোখের সামনে এত বড় ও গোটা ডুয়ার্স দেখার মজাই আলাদা। ওঠার সময় একটু ভয় ভয় লাগছিল তবে ওঠার পর সেই ভয়টা নেই আর।’