বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ভারতে মুসলিম, খ্রিস্টান সহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর গণহিংসার দাবি তুলে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ (Bangladesh On Indian Minorities)। গত 25 ডিসেম্বর, বড়দিনের দিন দেশজুড়ে সংখ্যালঘুদের উপর বেলাগাম অত্যাচার হয়েছে বলে দাবি জানিয়ে সেই নৃশংসতার তদন্ত করে তাদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা। এ নিয়ে রবিবার মুখ খুলেছিল বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেই সাথে বাংলাদেশে ক্রমাগত বেড়ে চলা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচার এবং তাদের বাস্তবিক পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে বর্ণনা করেছে ওপারের মন্ত্রক।
ভারতের বিরুদ্ধে মুখ খুলল বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
বাংলাদেশের প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, গতকাল অর্থাৎ রবিবার ওপার বাংলার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এস এম মাহবুবুল আলম সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দাবি করেন, ভারতে নাকি সংখ্যালঘুদের উপর নির্মম অত্যাচার হচ্ছে। শুধু তাই নয়, তিনি এদিন এও বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের সাম্প্রতিক মন্তব্য সম্পূর্ণ রূপে উদ্দেশ্য প্রণোদিত। যা প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে।
অবশ্যই পড়ুন: খড়গপুর ডিভিশনে বিনা টিকিটে ৪০০ যাত্রী, একদিনেই রেলের আয় আড়াই লক্ষ টাকা
এদিন ভারতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচারের অভিযোগ তুলে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র একেবারে খোলাখুলি জানান, “ভারতে মুসলিম, খ্রিস্টান সহ বিভিন্ন সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সংঘটিত নিশংস হত্যাকাণ্ড, গণপিটুনি, নির্বিচারে আটক এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বাধা দেওয়ার ঘটনায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এ মাসে আপনি যেমন বলেছেন, ভারতের ওড়িশার একজন মুসলিম যুবক জুয়েল রানাকে নৃশংসভাবে হত্যা করার ঘটনা ঘটে। বিহারের মহম্মদ আজহার হোসেনের নিশংস হত্যাকাণ্ড, কেরালায় বাংলাদেশি সন্দেহে এক নিরীহ ব্যক্তির হত্যাকাণ্ড এবং বিভিন্ন স্থানে মুসলিম ও খ্রিস্টানদের উপর সহিংসতার ঘটনা ঘটছে।”
অবশ্যই পড়ুন: ঘোষণা হয়ে গেল ভদ্রেশ্বর গোল্ড কাপের নির্ঘণ্ট, কবে কার বিরুদ্ধে নামছে মোহনবাগান?
এদিন এদেশে বড়দিন উদযাপনের সময় সংখ্যালঘুদের উপর সহিংসতা হয়েছে বলে দাবি করে মাহবুবুল জানান, “গত সপ্তাহে খ্রিস্টানদের বড়দিন উদযাপন উপলক্ষ্যে ভারত জুড়ে তাদের ওপর সংঘটিত গণ সহিংসতার বিষয়ে বাংলাদেশ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এমন ঘটনাকে আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করি এবং ঘৃণা জনিত অপরাধ ও লক্ষ্যভিত্তিক সহিংসতা হিসেবে দেখি। আমরা আশা করি ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এসব ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করবে এবং দোষীদের বিচারের আওতায় আনবে।” বাংলাদেশের এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের তরফে এখনও পর্যন্ত সে অর্থে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।