সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: দেশের জনসংখ্যা রিপোর্ট উঠে আসলো ভয়াবহ তথ্য। বিশ্বের সবথেকে জনবহুল দেশ ভারতের জনসংখ্যার (India Population Report) কাঠামো অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। রিপোর্ট বলছে, ২০১১ থেকে ২০২৬ সালের মধ্যে দেশের শিশু ও কিশোর অর্থাৎ ১৯ বছরের কম বয়সী নাগরিকের সংখ্যা ৯ শতাংশ হ্রাস পাবে। যেখানে ২০১১ সালে ০ থেকে ১৯ বছর বয়সী মোট জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৪১ শতাংশ, সেখানে ২০২৬ সালে তা কমে ৩২ শতাংশে নেমে আসবে। অর্থাৎ এই শ্রেণীতে মোটামুটি ১২.৫ কোটি জনসংখ্যা বলেই অনুমান করা হচ্ছে।
কী বলছে রিপোর্ট?
উল্লেখ্য, ওই রিপোর্টে ০ থেকে ১৯ বছর বয়সী জনসংখ্যা মূলত চারটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। আর সেগুলি হল ০ থেকে ৪ বছর, ৫ থেকে ৯ বছর, ১০ থেকে ১৪ বছর এবং ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়স। সেই অনুযায়ী—
- ২০১১ সালে ০ থেকে ৪ বছর বয়সীদের সংখ্যা ছিল ৯.৯ শতাংশ যা ২০২৬ সালে ৭.৬ শতাংশে নেমে আসবে।
- ৫ থেকে ৯ বছর বয়সীদের সংখ্যা ১০.৪ শতাংশ থেকে কমে ৭.৯ শতাংশে নেমে আসবে।
- ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের সংখ্যা ১০.৬ শতাংশ থেকে কমে ৮.২ শতাংশে নেমে আসবে।
- ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সীদের সংখ্যা ১০.১ শতাংশ থেকে কমে ৮.২% নেমে আসবে।
এমনকি জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মধ্যে ভারতের প্রজনন হার ১.৯%-এ পৌঁছবে বলে অনুমান করা হচ্ছে যা কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রার ২.১ শতাংশ থেকেও অনেকটাই কম। যদিও কিছু কিছু রাজ্যে এখনও তা ২.১% এর উপরে। তবে সামগ্রিক হার ১.৯% ধরা হচ্ছে।
জনসংখ্যার তারতম্যের নেপথ্যে কী কারণ?
বেশ কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করছে, জনসংখ্যা কাঠামোর এই পরিবর্তনগুলি আগামী বছরে ভারতের জনসংখ্যা হ্রাস করবে। তবে হ্যাঁ, তার জন্য আরও ২০ বছর সময় লাগবে। মূলত মধ্যবয়সী ও বয়স্ক জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার জন্যই কিশোর-কিশোরীদের জনসংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। আর গড় বয়স বৃদ্ধির ফলে ৮০ বছরের বেশি জনসংখ্যাও বাড়ছে।
আরও পড়ুনঃ রাস্তায় থুথু ফেললে ১০০০, পোষ্যর মলত্যাগে মালিককে ৫০০ জরিমানা! কাশীতে নয়া নিয়ম
এক্ষেত্রে উল্লেখ করার বিষয়, বিশ্বের যে কোনও দেশের তুলনায় নাইজারে যুব জনসংখ্যা সবথেকে বেশি। কারণ, সেখানে ১৮ বছরের কম বয়সী জনসংখ্যা প্রায় ৫৬.৯ শতাংশ। দারিদ্র্য এবং সংঘাতের সম্মুখীন হওয়া দেশগুলোতে যুব জনসংখ্যা মূলত বেশি হয়। সেই সুত্রে নাইজারে প্রতি মহিলার গড়ে আটজন করে শিশু রয়েছে। সে কারণেই এখানে যুব জনসংখ্যা অনেকটাই বেশি। এমনকি উগান্ডায় মোট জনসংখ্যার ৫৫% ১৮ বছরের কম বয়সী। পাশাপাশি এই তালিকায় অ্যাগুলা, সোমালিয়া সহ বেশ কিছু দেশে রয়েছে।