বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের উপাসনা করেন ইউনূস (Muhammad Yunus)! বিগত কয়েক মাসে সে কথা বুঝে গিয়েছে গোটা বিশ্ববাসী। আসলে ওপারে হাসিনা জামানার পতন হতেই বাংলাদেশের সাথে পাকিস্তানের সখ্যতা ক্রমশ বেড়েছে। ইউনূসের শাসনকালে অনেকটাই কাছাকাছি এসেছে দুই ভারত বিরোধী, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। মাঝেসাজে উঁকি দেয় চিনও। তবে এবার আর লুকোচুরি নয়। বলা চলে ভারতের বিরুদ্ধে একেবারে খোলাখুলি ময়দানে নেমে পড়লেন ওপার বাংলার প্রধান উপদেষ্টা!
বেশ কয়েকটি সূত্র মারফত খবর, ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে পাকিস্তানের হাত শক্ত করছে বাংলাদেশ! কার্যত একাধিক কু বুদ্ধি নিয়েই এবার নাকি পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ISI-র ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত অর্থাৎ পাক গুপ্তচর লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবু তায়েব মুহম্মদ জাহিরুল আলমকে বাংলাদেশের উপজাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা করার কথা ভাবছেন ইউনূস। জানিয়ে রাখি, পাকিস্তানের এই ব্যক্তিত্ব আদতে ভারত বিরোধী মানসিকতার চরম উদাহরণ।
বাংলাদেশের সাথে দীর্ঘদিনের যোগাযোগ জহিরুলের
বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, পাকিস্তানের গুপ্তচর হিসেবে পরিচিত অর্থাৎ ISI ঘনিষ্ঠ জাহিরুল আদতে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার প্রয়াত ভাই সৈয়দ ইস্কান্দারের সাথে পড়াশোনা করতেন। জানা যায়, খালেদা ঘনিষ্ঠ সহ বাংলাদেশের প্রায় অনেকেই পাকিস্তানের সাথে গোপনে সম্পর্ক রেখে চলেছেন।
অনেকেই হয়তো জানেন না, পাকিস্তানের যে ISI ঘনিষ্ঠ বা গুপ্তচরকে বাংলাদেশের উপজাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা করার কথা ভাবছেন ইউনূস, তিনি আসলে বাংলাদেশ ন্যাশনাল পার্টির শাসনকালে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর প্রধান হিসেবে কাজ করতেন। অন্যদিকে খালেদার স্বর্গগত ভাই ইস্কান্দারও নাকি সেই সময়ে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ সদস্য ছিলেন।
ভারতের জাত শত্রু হিসেবে পরিচিত এই জাহিরুল
বেশ কয়েকটি সূত্র মারফত খবর, পাক গুপ্তচর হিসেবে পরিচিত জাহিরুলের সাথে ইউনূসের ঘনিষ্ঠতা দীর্ঘদিনের। জানা যায়, প্রধান উপদেষ্টা তথা শান্তিতে নোবেলজয়ীর জেলা চট্টগ্রাম থেকেই প্রথম ঢাকায় আসেন তিনি। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত বিরোধী উগ্র ইসলামি গোষ্ঠী বা শক্তিকে মদত দিয়ে আসা এই জাহিরুল বাংলাদেশের ক্ষমতা পেলে আগামী দিনের চাপে পড়বে ভারত।
অবশ্যই পড়ুন: লাভ ১১,০০,০০,০০,০০,০০ কোটি! ট্রাম্পের যুদ্ধ বিরতি ঘোষণায় ফুলেফেঁপে উঠলেন আদানি
বলা বাহুল্য, ভারতের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে শুধুই উগ্রতা ছড়িয়েছেন এই জাহিরুল। মিজোরাম এবং অসমে ভারত বিরোধী উগ্রপন্থীদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়ার কাজটাও করেছিলেন তিনিই! ফলত, এমন একজন পাকিস্তান ঘনিষ্ঠকে দায়িত্ব দিলে আগামী দিনে বাংলাদেশের সাথে ভারতের সম্পর্ক বিরাট ধাক্কা খাবে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। তাছাড়াও, জাহিরুলের হাত ধরে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের মাধ্যমে ভারতের বিরুদ্ধে একাধিক ভয়ঙ্কর ছক তৈরির সুযোগ পেয়ে যাবে পাকিস্তান।