প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: গত এপ্রিলে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এসএসসির (School Service Commission) ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল হয়ে গিয়েছিল। এরপর নানা বিদ্রোহ এবং আন্দোলনের পর শেষে গত গত ৭ এবং ১৪ সেপ্টেম্বর নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছিল। এরপরই গত শুক্রবার, স্কুল সার্ভিস কমিশনের একাদশ-দ্বাদশের ফল প্রকাশিত হয়েছিল। পরীক্ষা গ্রহণের ৫৪ দিনের মাথায় এই ফলপ্রকাশ করেছিল কমিশন। প্রথমদিকে নানা জটিলতার পর অবশেষে নম্বর দেখতে পেয়ে ছিলেন পরীক্ষার্থীরা। কিন্তু তাঁদের অনেকেই পরীক্ষার ফলাফলে খুশি নন। এমতাবস্থায় প্রশ্ন উঠছে SSC-র পরীক্ষায় কত পেলেন আন্দোলনের প্রধান মুখ সুমন বিশ্বাস।
এসএসসি পরীক্ষায় বসেছিলেন সুমন!
২০১৬ সালের পরীক্ষার প্যানেলে যোগ্য শিক্ষক হিসেবে পরিচিত ছিলেন নদিয়ার ম্যাচপোতা হাই স্কুলের জীবন বিজ্ঞানের শিক্ষক সুমন বিশ্বাস। কিন্তু চলতি বছর সুপ্রিম কোর্টের রায়ে তিনিও চাকরিহারা হন। এরপরই সে আন্দোলনে নামেন স্বপন। ধীরে ধীরে শিক্ষকদের আন্দোলনের অন্যতম মুখ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। এসএসসি ভবন অভিযানের সময়ে তিনি গ্রেপ্তারও হন এমনকি পুলিশের হাতেও লাঠিপেটা খান তিনি। কিন্তু আন্দোলন থেকে দমে যাননি তিনি। শেষে বাধ্য হয়ে সুমন বিশ্বাসকেও গত ১৪ সেপ্টেম্বর একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় বসতে হয়েছিল। কিন্তু সেই পরীক্ষা যে তাঁর খুব একটা ভালো হয়নি, সেই কথা নিজেই স্বীকার করলেন সুমন।
কেমন হয়েছে সুমনের ফলাফল?
জানা গিয়েছে হুগলির চুঁচুড়ার বাসিন্দা সুমন বিশ্বাস স্কুল সার্ভিস কমিশনের একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীর লিখিত পরীক্ষায় ৬০ নম্বরের মধ্যে পেয়েছেন মাত্র ২৬ নম্বর। সংবাদমাধ্যমকে পরীক্ষা খারাপ হওয়ার কারণও জানিয়েছেন তিনি। সুমন এদিন বলেন, “একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার জন্য ভালো পড়াশোনা করেছিলাম। ৪০ বা ৪১ নম্বর পেতে পারতাম, কিন্তু অনেক প্রশ্নের উত্তর ভুল করে এসেছি। পড়াশোনা সেই ভাবে করতে পারিনি। তবে নবম-দশম শ্রেণির পরীক্ষা আমার ভালো হয়েছে। তাই একাদশ-দ্বাদশে আমার চাকরি পাওয়ার আশা নেই বললেই চলে।”
আরও পড়ুন: মহিলার ম্যাসাজ করছেন তৃণমূল কাউন্সিলর প্রিয়নাথ সাউ! ভিডিও ঘিরে তোলপাড় রামপুরহাট
প্রসঙ্গত, SSC-র একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীর ফলাফল প্রকাশ্যে আসার পরেই কম বেশি অনেক চাকরি প্রার্থীর ফলাফল খুব একটা ভালো আসেনি। আর এই প্রসঙ্গ তুলে ভ্যাকান্সি বাড়ানোর কথা বলেন সুমন। তিনি বলেন, “সরকার যদি মানবিক হয়ে, যোগ্য প্রার্থীদের নেওয়ার সদিচ্ছা প্রকাশ করে, তা হলে ভ্যাকান্সি বৃদ্ধি করলে তাঁরা চাকরি পেতে পারেন।” এছাড়াও সুমন বলেন, ‘চাকরি না হলে আর কী করা যাবে? আমি আমার বেস্ট দেওয়ার চেষ্টা করেছি। অনেক লড়াই ,পুলিশি হয়রানি সহ্য করেও পরীক্ষায় বসেছি।”