ভিয়েতনামকে ছাড়িয়ে মোবাইল ফোন রপ্তানিতে তৃতীয় স্থানের পথে ভারত

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ভারতের মোবাইল উৎপাদন শিল্পে নয়া মোড়! সম্প্রতি সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের এক গবেষণা বলছে, চলতি বছরের শেষে মোবাইল ফোন রপ্তানির (Mobile Export) দিক থেকে ভিয়েতনামকে পেছনে ফেলবে ভারত। আর এই বিরাট সাফল্যের পেছনে রয়েছে সুপরিকল্পিত রপ্তানি কৌশল এবং সরকারের নীতিমালা।

ভিয়েতনামকে ছাড়িয়ে এখন তৃতীয় স্থানের পথে ভারত

2017 সালে মাত্র 200 মিলিয়ন ডলারের মোবাইল ফোন রপ্তানি দিয়ে ভারত যাত্রা শুরু করেছিল। তবে 2024 সালের মধ্যে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে 24.1 বিলিয়ন ডলারে। আর এই বিপুল পরিমাণে ফোন রপ্তানির জন্য কৃতিত্ব দেওয়া হচ্ছে 2020 সালের চালু হওয়া প্রোডাকশন লিঙ্কড ইনসেন্টিভ স্কিমকেই।

এ মুহূর্তে ভারত বিশ্বে মোবাইল ফোন রপ্তানির নিরিখে চতুর্থ স্থানে রয়েছে। আর CDS-এর গবেষণা বলছে, চলতি বছরের শেষ নাগাদই ভিয়েতনামকে পেছনে ফেলবে ভারত। যে দেশকে এতদিন ধরে এশিয়ার ইলেকট্রনিক হাবে রূপান্তরিত দেশের অন্যতম মাধ্যম বলা হত, তাকেই এবার টেক্কা!

CDS-এর পরিচালক এবং RBI চেয়ার প্রফেসর সি. বীরমণি বলেছেন, গ্লোবাল ভ্যালু চেইনের (GVC) সঙ্গে জুড়েই আমাদেরকে এগোতে হবে। প্রসঙ্গত, GVC এমন একটি মডেল, যেখানে একটি প্রোডাক্টের বিভিন্ন অংশ দেশে তৈরি হয়ে একত্রিত হয়ে আসে ফাইনাল অ্যাসেম্বলি এবং এক্সপোর্টের জন্য।

উল্লেখ্য, চিন এবং ভিয়েতনাম এতদিন যাবত এই মডেল অনুসরণ করেই মোবাইল নির্মাণে বিশ্বের সেরা হয়েছে। আর এবারের পালা ভারতের। তবে শর্ত মানতে হবে একটা। নিজেদের ভ্যালু অ্যাডিশন ক্ষমতা 40 শতাংশ পর্যন্ত বাড়াতে হবে। তবেই তৃতীয় স্থানে পৌঁছনো সম্ভব।

আরও পড়ুনঃ হলুদ, গোলাপি নয়! ফোন আপডেট করলেই এবার আসছে কালো দাগ! মুখ খুলল Samsung

আমদানি নির্ভর দেশ এখন রপ্তানিভিত্তিক

2014-15 সালে যেখানে ভারতে মোবাইল ফোন আমদানির সংখ্যায় ছিল প্রায় 8 বিলিয়ন ডলার, সেখানে 2024-25 সালে এসে তা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র 43 কোটি ডলারে। আর 21018-19 সালে ভারত মোবাইল বাণিজ্য ট্রেড ব্যালেন্সও অর্জন করেছে। উল্লেখ্য, 2022-23 অর্থবর্ষে দেশের মোবাইল উৎপাদন খাতে 23% ডোমেস্টিক ভ্যালু অ্যাডিশন এসেছে, যার বাজার মূল্য প্রায় 10 বিলিয়ন ডলারের বেশি।

Leave a Comment