ভুলে যেতে হবে DA? সুপ্রিম কোর্টে এবার যা যুক্তি দিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার! চাপে কর্মীরা

bengal da case

সহেলি মিত্র, কলকাতা: বাংলার মহার্ঘ্য ভাতা মামলা (Bengal DA Case) নিয়ে চর্চার শেষ নেই। একদিকে যখন রাজ্য সরকার বলছে কেন্দ্রীয় হারে DA বা বকেয়া ডিএ-র সম্পূর্ণটা দেওয়া সম্ভব নয়। তখন অন্যদিকে নিজেদের হকের দাবি ছিনিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর রাজ্য সরকারি কর্মীরা। এদিকে আগামী সোমবার অর্থাৎ ৮ সেপ্টেম্বর রয়েছে বাংলার ডিএ মামলার পরবর্তী শুনানি। তবে রাজ্য সরকারের তরফের আইনজীবী কপিল সিব্বল সুপ্রিম কোর্টে ৬২ পাতার লিখিত সাবমিশন দিয়েছে। আর এই সাবমিশনে সরকার বেশ কিছু যুক্তি খাড়া করেছে।

সুপ্রিম কোর্টে ৬২ পাতার লিখিত সাবমিশন দিল রাজ্য

এক রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রথমত রাজ্য সরকার যুক্তি দিয়েছে যে ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো অনুযায়ী, রাজ্য সরকারগুলি কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দিতে আইনত বা সাংবিধানিকভাবে বাধ্য নয়। এর আগে ডিএ মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট বা ট্রাইব্যুনালও কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার জন্য রাজ্যকে নির্দেশ দেয়নি। এই আবহে রাজ্য নিজের আর্থিক পরিস্থিতি অনুযায়ী ডিএ নির্ধারণ করতে পারে।

রাজ্যের দ্বিতীয় যুক্তি হল ভারতের প্রায় অর্ধেক রাজ্য কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেয় না। এই আবহে সুপ্রিম কোর্ট যদি পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দেয়, তাহলে এর প্রভাব পড়বে বাকি রাজ্যগুলোর ওপরেও। কপিল সিব্বলের বক্তব্য, ১৩টি রাজ্য এমন রয়েছে, যারা কেন্দ্রের হার না মেনে, নিজেদের পরিস্থিতি অনুযায়ী ডিএ-র হার নির্ধারণ করে। সেই নিয়ম অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গ সরকারও নিজেদের সাধ্য মতো ডিএ দিচ্ছে।

বারবার বিতর্কে ডিএ মামলা

এই বকেয়া ডিএ মামলা বিগত কয়েক বছর ধরে চলছে। সুপ্রিম কোর্টের তরফে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে বকেয়া মহার্ঘ্য ভাতার ২৫ শতাংশ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ডেডলাইন ছিল ২৭ জুন। তবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার সেই নির্দেশ সময়ের মধ্যে পালন করতে ব্যর্থ হয়। সরকারি কর্মীরা আগেই জানিয়েছিলেন যে সরকার যদি ডিএ প্রদান করতে ব্যর্থ হয় তাহলে আদালত অবমাননার মামলা করা হবে। এই বিষয়ে দুইটি অবমাননার মামলা করাও হয়েছিল। এমনকি রাজ্য সরকারকে ‘মহাজন’-এর সঙ্গেও তুলনা করা হয়।

Leave a Comment