সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: এক অবিশ্বাস্য ঘটনার সাক্ষী থাকল শ্রীনগর বিমানবন্দর (Srinagar Airport)। গত 26 জুলাই SpiceJet-এর এক বিমানে ওঠার আগে অতিরিক্ত ল্যাগাজের কারণে টাকা চাওয়াতেই রীতিমতো ক্ষেপে গিয়ে SpiceJet-এর চার কর্মীর উপ চড়াও হল এক উচ্চপদস্থ সেনাদ আধিকারিক। এর ফলে এক কর্মীর চোয়াল ভেঙে যায়, আরেকজনের মেরুদন্ডে গুরুতর আঘাত লেগেছে।
কী ঘটেছিল সেদিন?
SpiceJet-এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, দিল্লিগামী ফ্লাইট SG 386-এ টিকিট ছিল ওই সেনার। তবে তার কেবিন লাগেজের ওজন ছিল 16 কেজি। সেখানে অনুমোদিত সীমা ছিল মাত্র 7 কেজি। কর্মীরা বিষয়টি নিয়ে তার কাছে বিনীতভাবে অর্থের দাবি করেন। আর তাতেই চটে গিয়ে প্রথমে তিনি জোর করে বোডিং না করেই অ্যারোব্রিজে প্রবেশ করেন, যা বিমানবন্দরের নিয়মের বাইরে।
আর এই পরিস্থিতিতে CISF-এর আধিকারিকরা তাঁকে আবার গেটের দিকে ফিরিয়ে নিয়ে আসে। তখনই শুরু হয় আসল ঘটনা। গ্রাউন্ড স্টাফদের লক্ষ্য করে তিনি মারধর শুরু করেন। একজন কর্মী মার খেয়ে ঘটনাস্থলেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। আর তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে যান অপর এক সহকর্মী।
Army officer Assaulted Spice Jet Staff At Srinagar Airport, FIR Registered pic.twitter.com/M5v6OTrhHm
— The Nawakadal (@Nawakadal3) August 3, 2025
তবে তাকেও ছেড়ে দেয়নি ওই অভিযুক্ত। তার চোয়ালে ওই সেনা কর্মী এমনভাবে লাথি মারে যে, সঙ্গে সঙ্গে নাক-মুখ দিয়ে রক্ত পড়তে শুরু করে। সঙ্গে সঙ্গে চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, আর বর্তমানে তাদের চিকিৎসা চলছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, একজনের চোয়াল ভেঙে গিয়েছে, আর একজনের পিঠের হারে বিরাট আঘাত লেগেছে।
আরও পড়ুনঃ ‘আমার বোনের মতোই’! BJP ও CPIM-কে দায়ী করে রচনা দ্বন্দ্বের ইতি টানলেন অসিত
এই ঘটনার পরপরই স্থানীয় থানায় অভিযুক্ত সেনা আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রকের কাছ থেকে অভিযোগপত্র পাঠিয়ে তাকে নো-ফ্লাইট লিস্টের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি বিমান সংস্থার তরফ থেকে বলা হয়েছে যে, আমাদের কর্মীরা কোনোরকম উত্তেজনা ছাড়াই শান্তভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছিল। তবে তার এই হিংসাত্মক আচরণ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এই ঘটনায় আমরা পুরোপুরি আইনে পদক্ষেপ নেব।
পাশাপাশি CISF-এর তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে যে, পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে এনে ফ্লাইট অপারেশনে কোনোরকম বাধা পড়তে দেওয়া হয়নি। সিসিটিভি ফুটেজ বর্তমানে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আর এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।