ভোটার তালিকায় অনিয়মের অভিযোগ! বাংলায় সাসপেন্ড চার আধিকারিক, FIR-র নির্দেশ

Voter List

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ২৬ এর নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই ভোটার তালিকা নিয়ে একাধিক কর্মসূচি নিয়েই চলেছে নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যে বিহারে ভোটার তালিকায় SIR পদ্ধতি শুরু হয়ে গিয়েছে। খসড়া তালিকা থেকে ৬১ লক্ষের নাম বাদ যাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে, যা নিয়ে চলছে তুমুল তরজা। এমতাবস্থায় এবার পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্তির ক্ষেত্রে অনিয়মের জেরে দুই বিধানসভা কেন্দ্রের চার আধিকারিককে সাসপেন্ড করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন।

চার আধিকারিকের বিরুদ্ধে FIR!

আনন্দবাজারের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভোটার তালিকায় এবং নির্বাচনী কাজে কোনো গাফিলতি বা অসততা কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না বলে অনেক আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন বা ECI। কিন্তু কড়া নির্দেশের পরও ভোটার লিস্টে কারচুপির অভিযোগ উঠে এসেছে বারুইপুর পূর্ব এবং ময়না বিধানসভা কেন্দ্র থেকে। আর এই বিরাট গাফিলতির কারণে দুই ERO বা ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার এবং দুই সহকারী ERO-কে সাসপেন্ড করল কমিশন। শুধু তাই নয়, অবিলম্বে এই চার আধিকারিকের বিরুদ্ধে ‘অপরাধমূলক কার্যকলাপের’ অভিযোগে FIR করার নির্দেশও দিয়েছে কমিশন।

চিঠিতে কী জানিয়েছেন কমিশন?

কমিশনের তরফে ইতিমধ্যেই চিঠি পাঠানো হয়েছে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে। যেখানে বলা হয়েছে, “ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের পাশাপাশি জেলা নির্বাচন আধিকারিক, নির্বাচন নিবন্ধন আধিকারিক, সহকারী নির্বাচন নিবন্ধন আধিকারিক-সহ যাঁরা ভোটার তালিকার সংশোধন বা সমীক্ষা সংক্রান্ত কাজে যুক্ত থাকেন, তাঁরা ডেপুটেশনে নির্বাচন কমিশনের কর্মী হিসেবে কাজ করছেন বলে গণ্য হয়। তাই কমিশনের তত্ত্বাবধানে, নির্দেশে এবং নিয়ম মেনে কাজ করতে বাধ্য তাঁরা। যদি তাঁরা কর্তব্যে গাফিলতি করেন বা কমিশনের কথামতো কাজ না করেন, তা হলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করার বিধান রয়েছে। যদি অপরাধ প্রমাণিত হয় তাহলে তিন মাস থেকে দু’বছর পর্যন্ত কারাবাসের বিধানও রয়েছে।”

আরও পড়ুন: নোয়াপাড়ায় এলাহি আয়োজন, যাত্রীদের আরামে ম্যাসাজ চেয়ার উদ্বোধন কলকাতা মেট্রোর

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক নির্বাচন কমিশনের এক সিনিয়র আধিকারিক ভোটার তালিকায় কারচুপির সঙ্গে যুক্ত চার অভিযুক্তর বিরুদ্ধে জানিয়েছেন যে, “ভোটার তালিকা জাতীয় গণতন্ত্রের ভিত্তি। সেখানে সামান্যতম কারচুপিকেও বরদাস্ত করা হবে না। বারুইপুর পূর্ব ও ময়নায় যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত গুরুতর। আমরা চাই না এই ধরনের কর্মীরা সিস্টেমে থাকুন।” উল্লেখ্য, বারুইপুর পূর্বের ERO এবং AERO হিসেবে কাজ করছিলেন দেবোত্তম দত্ত চৌধুরী এবং তথাগত মণ্ডল অন্যদিকে ময়না বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য ওই দুই দায়িত্বে ছিলেন বিপ্লব সরকার ও সুদীপ্ত দাস। তবে এঁরা ছাড়াও সুরজিৎ হালদার নামে এক ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের নামেও FIR দায়ের করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Leave a Comment